করোনা মহামারির মধ্যেও একের পর এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের পরিমাণ।
মূলত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানায়।
এদিন দেশের রিজার্ভের পরিমাণ সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪৬ দশমিক শূন্য ৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার হিসাবে দেশের এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১ জুন প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে। তার আগে ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
তবে রেমিট্যান্স ছাড়াও রিজার্ভে রপ্তানি আয়ের প্রভাব আছে। চলতি বছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশ, যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩ হাজার ৯৫ কোটি ৯১ লাখ (৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।