আগে ব্যাট করা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ২ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বড় স্কোর পেয়েছিল। রান তাড়া করতে নামা পাঞ্জাব কিংসও দেয় মোক্ষম জবাব। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঞ্জাব।
রোববার রাতে মুম্বাইয়ে হওয়া ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরকে ভালো সূচনা এনে দেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তিনি আনুজ রাওয়াতকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ২০ বলে ২১ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আরুজ বোল্ড হলে ওপেনিং জুটি ভাঙে।
তিনে নামা বিরাট কোহলিকে নিয়ে ১১৮ রানের বড় জুটি গড়েন ডু প্লেসিস। আরশদীপ সিংয়ের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে লং অফে শাহরুখ খানের হাতে ডু প্লেসিস ধরা পড়েন। অল্পের জন্য প্রোটিয়া ক্রিকেটার পাননি সেঞ্চুরি। ৫৭ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেন ৮৮ রানের ঝড়ো ইনিংস।
কোহলি ২৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ১৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলে দলকে দুইশ রানের গণ্ডি পার করান।
পাঞ্জাব কিংস বড় লক্ষ্য পেলেও বিচলিত হয়নি। দুই মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ান উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ৭ ওভারেই স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৭১ রান।
এরপরই ভাঙে জুটি। ২৪ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করা মায়াঙ্গ স্কয়ার লেগে শাহবাজ আহমেদের তালুবন্দি হন। বোলার ছিলেন ভানিডু হাসারাঙ্গা।
দ্বিতীয় উইকেটে ভানুকা রাজাপাকসের সঙ্গে ধাওয়ান ৪৭ রান যোগ করেন। হার্শাল প্যাটেলের বলে ২৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করা ধাওয়ানের সহজ ক্যাচ নেন আনুজ।
২২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৩ রান করা ভানুকা বিদায় নেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে, ক্যাচ নেন শাহবাজ। পরের বলেই রাজ বাওয়াকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন সিরাজ।
লিয়াম লিভিংস্টোন পাঞ্জাবের আশার পালে হাওয়া লাগালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রান করা এই ব্যাটারকে দারুণ ক্যাচে ফেরান আনুজ, বোলার ছিলেন আকাশ দ্বীপ।
শেষ ৩ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল ৩০ রান। মোহাম্মদ সিরাজ ১৮তম ওভারে দিয়ে বসেন ২৫ রান। ওডিয়ান স্মিথ এই ওভারে মারেন এক চার ও ৩ ছক্কা। কার্যত এখানেই পাঞ্জাবের জয় লেখা হয়ে যায়।
হার্শালের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ২ রান নেন শাহরুখ। পরের বল হয় হোয়াইড। দ্বিতীয় বল ডট হওয়ার পর তৃতীয় বলে শাহরুখ রারেন ছক্কা। এরপরের দুই বল হত ডট। ওভারের শেষ বলে চার মেরে পাঞ্জাবের জয় নিশ্চিত করেন শাহরুখ।
ওডিয়ান ৮ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ২৫ ও শাহরুখ ২০ বলে এক চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এই দুই ব্যাটার ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।