
রপ্তানি বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই খাতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত প্রসঙ্গে সংগঠনটি বলেছে, তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারে রপ্তানিখাতের উৎসে কর বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নাই। বর্তমানে দশমিক ৭০ শতাংশ হারে উৎসে কর কার্যকর। যা নতুন অর্থবছর থেকে ১ শতাংশ হিসাবে ধার্য হবে। তা বাস্তবায়িত হলে রপ্তানিমুখী শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় ব্যবসায়ীরা।
সোমবার ইএবির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উৎসে কর কর্তনকে ন্যুনতম কর হিসেবে বিবেচনা না করে পূর্বের ন্যায় চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে গণ্য করা জরুরি। একই সঙ্গে বস্ত্র খাতের অন্য দুটি উপখাত টেরিটাওয়েল ও হোমটেক্সটাইলের উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখা দরকার।

করপোরেট কর প্রসঙ্গ বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। শিল্পের স্বার্থে তা ১০ শতাংশ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য করপোরেট কর ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ১ শতাংশ কমানোর কারণে মালিকেরা পরিবেশবান্ধব কারখানা করতে আগ্রহী হবেন না। এটা কমপক্ষে ৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন।
বাজেটে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রপাতি ও প্রি-ফেব্রিক্যাটেড বিল্ডিং তৈরির উপকরণে ৫ শতাংশ কর রেয়াতের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু রপ্তানিমুখী শিল্পের স্বার্থে আগের মত তা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান ১০০ শতাংশ ভ্যাট মুক্ত। কিন্তু লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে কিছু কিছু পার্চেজের ওপরে ভ্যাট প্রয়োগ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্পের লিমিটেড কোম্পানিকে ভ্যাটের মধ্যে যেন ফেলা না হয় সে দিকটি বিবেচনায় নিয়ে একটি আদেশ জারির অনুরোধ জানাচ্ছি।
আবগারি শুল্ক বিষয়ে বলা হয়, নতুন করে ব্যাংকে টাকা রাখার ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। সার্বিকভাবেই আমানতের ওপর সুদ কমছে। ফলে আমানতকারীরা দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে সুদ কমছে। অন্যদিকে কর বাড়ছে। আমানতকারীরা এখন শঙ্কিত, তারা কোথায় যাবে।
এছাড়া অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির মূলমন্ত্র হল বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। কিন্তু ২০১৭-১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে-এবিষয়ে কোন স্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি। বিষয়টি পুণঃবিবেচনার দাবি জানায় সংগঠনটি।