প্রতিটি শিশুর শৈশবকে আরও বেশী আনন্দময় ও রঙিন করে তোলার পেছনে থাকেন একজন খালা অথবা ফুফু, অর্থাৎ আন্টি। চকলেট চাইলে বাবা-মা ফিরিয়ে দিলেও আন্টিকে বললেই এনে দেয়। অথবা ঘুরতে যেতে চাইলে আন্টি কখনোই না করেন না। ভালোবাসা দিয়ে শিশুর কাছে যেন দ্বিতীয় মা হয়ে উঠেন একজন আন্টি।
বাবা-মা শিশুদের উপদেশ দেন, দাদা-দাদী এবং নানা-নানী প্রশ্রয় দেন। আর আন্টিরা দুটোই করেন। তারা হয়ে উঠেন শিক্ষক এবং বন্ধু দুটোই। জেনে নিন আন্টি একটি শিশুর জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে সেই সম্পর্কে।
জীবন সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা দেয়: কোনো একটা বিষয়কে বাবা-মা যেভাবে বোঝায়, আন্টি অন্যভাবে সেই বিষয়ে ধারণা দিতে পারে। বাবা-মায়ের অনেক সময় ধৈর্য থাকে না। কিন্তু আন্টি কিন্তু ঠিকই ধৈর্য নিয়ে ভালোবাসার সঙ্গে একটি বিষয় বুঝাতে পারে ভাগ্নে-ভাগ্নি অথবা ভাতিজা-ভাতিজিকে।
বিশেষ দিন উদযাপন: জন্মদিন হোক কিংবা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল, আন্টি সবসময়েই পাশে থাকে। এইসব বিশেষ মুহূর্তগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে উদযাপন করতে ব্যস্ত হয়ে পরেন আন্টিরা।
বেড়াতে নিয়ে যাওয়া: জাদুঘর, কনসার্ট, মেলা কিংবা চিড়িয়াখানায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবা-মায়ের হয়ে ওঠে না অনেক সময়। কিন্তু আন্টিকে বললে কখনোই ‘না’ নেই।
ভালোবাসায় কার্পণ্য নেই: আন্টিদের ভালোবাসা যেন অসীম। জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া, ঘুমানোর আগে গল্প এবং গান শুনানো, ঘুম পাড়িয়ে দেয়া, খেলা কোনো কিছুতেই যেন ক্লান্তি নেই আন্টিদের।
সমস্যা জানানো: যে সব সমস্যার কথা বাবা-মাকে জানাতে ভয় পায় শিশুরা, সেগুলো সহজেই আন্টিকে জানানো যায়। আন্টি তো বন্ধুর মতোই, তাই শিশুরা আন্টিদেরকে সব কিছু খুলে বলতে পারে। আন্টিরাও মন দিয়ে শুনে সমাধানের পরামর্শ দেন।
আশ্রয়: কোনো ভুল করার পরে যখন বাবা-মা দুজনেই শাসন করেন, তখন আশ্রয় দেন আন্টি। বকাঝকা না করে আদর করে ভুলটা বুঝিয়ে দেন তারা।