বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার এড়াতে নাজমুস দিনাজপুরের হিলি বর্ডার দিয়ে ভারত পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তিনি বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় তাকে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাজমুস সাদাত জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার কালাই উত্তর পারার হাফিজুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তিনি দিনাজপুর জেলার হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে আবরার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘‘গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামি মো. আকাশ হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’
আবরার হত্যাকাণ্ডে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করে ডিবি।
মামলার আসামিরা হলো: মেহেদী হাসান রাসেল, (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), মো. তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল , ১৭তম ব্যাচ), মো. মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মো. আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), এহতেমামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোয়াজ (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে একটি হত্যা মামলা করা হয়।