রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮’র ম্যাচগুলো হবে ১২টি স্টেডিয়ামে। চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে স্টেডিয়ামগুলোর পরিচিতি। আজ থাকছে সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম, পিটার্সবার্গের কথা-
স্থানীয় নাম ক্রেটোভস্কি স্টেডিয়াম। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু ২০০৭ সালে ভূমিতে ফাটল ধরা পড়ে কাজ পেছায় এক দফা। পরে বিশ্বকাপের জন্য গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রোমকে সরে যেতে হয়েছে শহর থেকে। তারপরই ম্যাচ আয়োজনের পথে নেয়া গেছে সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামকে।
স্টেডিয়াম পরিচিতি: লুঝনিকি, স্পার্টাক, নভগোরোদ, সারানস্ক, কাজান, সামারা, একাটেরিনবার্গপ্রাথমিক বাজেট ১৯০ মিলিয়ন ইউরো থেকে বাড়িয়ে সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামকে তৈরি করতে খরচ হয়েছে তিনগুণ। বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে রাশিয়ার জন্য সেটা কোনো সমস্যাই হয়নি।
কিশো কুরোকাওয়াসার মহাকাশযান কৌশলে নির্মিত স্টেডিয়ামটি দেখতে অনেকটা জাপানের টয়োটা স্টেডিয়ামের মত। প্রয়োজন মতো খোলা যায় স্টেডিয়ামের ছাদ। প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্টেডিয়ামের অন্যতম সেইন্ট পিটার্সবার্গ।
গত বছর কনফেডারেশনস কাপের ম্যাচ হয়েছে সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে। এবার বিশ্বকাপের ব্রাজিল-কোস্টারিকা, আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার লড়াইয়ের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ হবে এখানে। সঙ্গে সেমিফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্বাচনী ম্যাচও হবে।
এক নজর-
সেইন্ট পিটারসবার্গ স্টেডিয়াম, পিটারসবার্গ
ধারণ ক্ষমতা: ৬৮ হাজার
উদ্বোধন: ২০১৭ সালে।
বিশ্বকাপে ম্যাচ হবে: ৭টি
উল্লেখযোগ্য ম্যাচ: ব্রাজিল-কোস্টারিকা, আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া