
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সোমবার আদালতে চার্জশিট দিতে যাচ্ছে সিআইডি। এতে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছে ৪১ জন। ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
তবে এ দুই মামলায় রানা ছাড়া ওই ভবনে থাকা পোশাক কারখানার মালিকসহ সব আসামীই জামিনে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে রাজধানীর উপকন্ঠে সাভার বাস্ট্যান্ডের কাছে ৮ তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। এতে নিহত হন ১ হাজার ১শ’ ৩৫ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪শ’ ৩৮ জনকে। যাদের মধ্যে অনেকেই চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
ওই ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে। ঘটনার দুই বছর ১ মাসেরও কিছু বেশি সময় পর আদালতে দুই মামলার চার্জশিট দিচ্ছে সিআইডি।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, সিআইডি সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল (সোমবার) দুটি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হবে। একটা পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলা। এতে রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হবে।
‘এছাড়াও সাভার পৌরসভার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খানকেও আসামী করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় রানা, তার বাবা এবং ওই ভবনে থাকা পোশাক কারাখানার মালিকসহ ১৮ জনকে আসামী করা হচ্ছে।
আনোয়ারুল বলেন, শুরুতে মামলাটি হয়েছিলো অবহেলা জনিত হত্যা মামলা হিসেবে। একজন পোশাক শ্রমিকের স্বামী রানাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগ এবং পুলিশের মামলা একই সঙ্গে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে সিআইডি হত্যার সত্যতা পেয়েছে। সেই অনুযায়ীই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
চার্জশিটে হত্যা মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৫শ’ ৯৪ জনকে। আর ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় সাক্ষী ১শ’ ৩০ জন।