মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং ‘কে’ ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মোশাররফ। ঢাকা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালী জেলায় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। সরাসরি যুদ্ধে শত্রুপক্ষের গুলিতে গুরুতর আহত হন খালেদ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দক্ষতার সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করতে যে তিনটি ফোর্স গঠন করা হয়েছিল, এর একটির অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মোশাররফ। তার নামের আদ্যক্ষর দিয়েই নাম হয় কে ফোর্স।
স্বাধীনতা ঘোষণার কয়েকদিন আগে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সিনিয়র মেজর থাকা অবস্থায় তাকে শমসেরনগরে বদলি করা হয়। যুদ্ধ শুরু হলে বাঙালি সৈনিকরা যাতে সংগঠিতভাবে পাল্টা আক্রমণ করতে না পারে, সে পরিকল্পনা থেকেই তাকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তানিরা।
তবে খালেদ মোশাররফকে দমিয়ে রাখা যায়নি। ২৫ মার্চের গণহত্যার প্রতিবাদে পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে মেজর শাফায়াত জামিলসহ বিদ্রোহী সৈন্যদের সাথে যোগ দেন তিনি। চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন খালেদ।
এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে খালেদ মোশাররফ ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হন বলে জানান জামিল ডি আহসান বীরপ্রতিক ও সুলতান মাহমুদ বীরউত্তম। তারা বলেন, নেতৃত্বের পাশাপাশি সরাসরি যুদ্ধের বিরল গুণ ছিল খালেদ মোশাররফের।
আরেক মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফের ভাষায়, রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের মুক্তিবাহিনী ও যোদ্ধাদের পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি সবসময় মানসিকভাবে চাঙা রাখতেন খালেদ মোশাররফ।
মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার খালেদ মোশাররফকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে। পঁচাত্তরের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হটিয়ে দিয়ে খালেদ মোশাররফ গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেও ৭ নভেম্বর এক অভ্যুত্থানে নিহত হন তিনি।
বিস্তারিত দেখুন পরাগ আজিমের ভিডিও প্রতিবেদনে: