চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিএনপি সহিংসতার পথে গেলে সমুচিত জবাব: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বিএনপি সহিংসতার পথে গেলে জবাব দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তিনি বলেছেন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলার জামিন শুনানি কাল। শুনানিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা আজকে হাইকোর্টের সামনে আগুন দিয়েছে। আগুন দিয়ে তারা আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। বিএনপি সহিংসতার পথে গেলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সমুচিত জবাব দেবে।

বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘১৪ তারিখ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ তারিখ বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও বর্ধিত সভায় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় দলের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: আপনারা সতর্ক থাকবেন, নিজে থেকে কিছু করবেন না। তবে আক্রান্ত হলে চুপ থাকবেন না। আমাদের আগামী দিনগুলো খুব চ্যালেঞ্জিং। আমাদের যারা প্রতিপক্ষ তারা খুব সহজে ছেড়ে দেবে না। ক্ষমতার জন্য তারা চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন: বেগম জিয়ার জামিনকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) সর্বোচ্চ আদালতকে হুমকি দিচ্ছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড রয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার পছন্দেরও ডাক্তার রয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ড রিপোর্ট দিচ্ছে, মির্জা ফখরুল তাতেও সন্দেহ করছে। সবকিছুতে তাদের সন্দেহ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল হুট করে বললো, তাদের আমলে সংখ্যালঘুরা ভালো ছিলো! হায়রে দুর্ভাগা দেশ! মাইনোরিটি নির্যাতনে তাদের কর্মকাণ্ড একাত্তরের সাথে তুলনা চলে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক এই বিএনপি।

এসময় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে আমাদের নব-যাত্রার বার্তা আমরা ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে চাই । সে লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা ঢাকা মহানগরে নতুন দুজনকে নেতৃত্বে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন: মহানগরে যারা পদ পাবে, তারা থানায় পদ নিতে পারবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একই ব্যক্তি দুই জায়গায় পদ নিতে পারবে না। আওয়ামী লীগের প্রত্যেককে কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব নেতা হতে হবে। খারাপ লোক দিয়ে দল ভারি করার প্রয়োজন নেই। আপন লোক বলতে; দলের লোককেই আপন ভাববেন। আমাদের ইমেজ ঘাটতি আছে। নতুন নেতৃত্বকে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না বলেও যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।