চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

বাকনারের যে দুই ভুলে ম্যাচ হেরেছিল ভারত!

২০০৮ সালের সিডনি টেস্ট, ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত ম্যাচের একটি। ম্যাচে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ও হরভজন সিংয়ের তর্ক-বিতর্ক ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছে ‘মাঙ্কি গেট’ কেলেঙ্কারি হিসেবে। আম্পায়ারের একাধিক ভুলও ঘি ঢেলেছিল সেই বিতর্কের আগুনে। ক্যারিবীয় আম্পায়ার স্টিভ বাকনারকে সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদও উঠেছিল ভারতের পক্ষ থেকে। এরপরই আস্তে আস্তে ক্রিকেট থেকে সরে যেতে হয় আইসিসির একসময়কার নাম্বার ওয়ান আম্পায়ারকে!

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সেই টেস্টে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বাকনার ও ইংলিশম্যান মার্ক বেনসন। দুজনের একাধিক বিতর্কিত ভুলের কারণে প্রথম ইনিংসে দারুণ লিড থাকার পরও শেষপর্যন্ত ১২২ রানে হেরে বসে ভারত। সিডনি টেস্ট জিতে সিরিজও ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া।

Bkash July

আম্পায়ারের ভুল আর ‘মাঙ্কি গেট’ কেলেঙ্কারি মিলিয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সম্পর্কে এতটাই ফাটল ধরেছিল, আইসিসিকে হস্তক্ষেপও করতে হয়েছিল। সিডনি টেস্টের পর সিরিজ বয়কটের দাবি উঠেছিল ভারতের পক্ষ থেকে।

সেই টেস্টের ১২ বছর পর স্টিভ বাকনার স্বীকার করেছেন ম্যাচে তার ভীষণ দুটি ভুল ছিল, যা ভারতকে হারতে বাধ্য করেছে। মিড-ডের কাছে সাক্ষাৎকারে ভুলগুলো তুলে ধরেছেন কিংবদন্তি এ আম্পায়ার।

Reneta June

‘২০০৮ সালের সিডনি টেস্টে দুটি ভুল করেছিলাম। প্রথম ভুলটা ছিল একজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি করতে দেয়া, তখন পর্যন্ত ভারত ভালোই খেলছিল।’

‘দ্বিতীয় ভুলটা ছিল একদম ম্যাচের শেষদিনে। ওই ভুলটার কারণেই ভারত ম্যাচটা হেরে যায়। পুরো ম্যাচে আমার কেবল এ দুটি ভুলই ছিল। কিন্তু আমিই কী এক ম্যাচে দুই ভুল করা প্রথম আম্পায়ার? তারপরও এ দুটি ভুল আমাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।’

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আভিজাত্যের সঙ্গে আম্পায়ারিং করা বাকনারের ক্যারিয়ার মূলত সিডনি টেস্টের পরেই থমকে দাঁড়ায়। তার পরিচালনায় সবরকম ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয় বড় দাগ।

বাকনার বলছেন, দিনশেষে তিনি মানুষ। মানুষ হিসেবে আম্পায়ারিংয়ের সময় ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার মতে একজন আম্পায়ারের সবচেয়ে বড় গুণ যে ভুলটা কোথায় হচ্ছে তা ধরতে পারা, ‘আপনাকে জানতে হবে যে ভুলটা কোথায় হচ্ছে, এরপর একই ভুল আর করা যাবে না।’

‘আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। কিন্তু কিছু কিছু সময় বাতাস পিচের উল্টো দিকে বয়ে যায়, আর তখন শব্দ বাতাসের সঙ্গে ভেসে যায়।’

‘স্টাম্প মাইকের কারণে অনেক শব্দ ধারাভাষ্যকাররা শুনতে পায়। কিন্তু আম্পায়ারদের কানে তা পৌঁছায় না। এই বিষয়টি কিন্তু দর্শকদের জানা নেই।’

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View