কানাডা ও আমেরিকার সীমান্ত বন্ধ থাকায় অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। নিকটাত্মীয়দের যাতায়াতের অনুমতি থাকলেও বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে অভিবাসীরা।
স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য কানাডিয়ান প্রেস বলছে, নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সীমান্ত বন্ধ থাকা সত্ত্বেও মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরসিএমপি ক্রসিং করায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেখানে এপ্রিল মাসে সংখ্যাটা ছিলো মাত্র ছয়জন। প্রথমে পুরো সীমান্তটি প্রায় সব কিছুর জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তবে কোভিড -১৯ এর প্রসার কমিয়ে দেওয়ার জন্য দু’দেশের একটি দরপত্রে প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।
কানাডার ইমিগ্রেশন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব অফিস বলছে, মে মাসে কানাডার আশ্রয়ের জন্য মোট ১,৩৯০ জন আবেদন করেছিলো আর এপ্রিলে ১,৫৭০ জন।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের পর নতুন দুশ্চিন্তায় জীবন পার করছেন কানাডা বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা। আর এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। দেশটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অভিবাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার আবেদন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আবেদন বাতিলের সংখ্যা। এ অবস্থায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিতে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে অবৈধ অভিবাসীরা।
করোনাসংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে কানাডাতে দেওয়া লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশিরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের কাজকর্ম শুরু করেছে। তবে স্কুল কলেজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অভিবাসীদের দাবি তাদের কানাডায় বসবাসের অনুমতি দেওয়া হোক। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অফিসে অভিবাসী অ্যাসোসিয়েশন থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
কানাডায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ছয়শত ২২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন আট হাজার পাঁচশ চারজন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৫ হাজার ৪২৫ জন।
একদিকে জীবিকা নির্বাহ আর অন্যদিকে করোনাআতঙ্ক- এসব মিলেই কানাডাবাসী পার করছে তাদের দিনগুলো। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকরা মনে করছে এই অবস্থা চলতে থাকবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বের না হওয়া পর্যন্ত।