বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আবারও প্রধান আসামী তুফান সরকার ও মুন্নার ২দিন, তুফানের স্ত্রী আশা ও শ্বাশুড়ি রুমি খাতুনের ১দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত ।
বুধবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তাদের হাজির করা হলে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, আসামীদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আাবেদন করা হলে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত প্রধান আসামী তুফান সরকার ও মুন্নার ২দিন, তুফানের স্ত্রী আশা ও শ্বাশুড়ি রুমি খাতুনের ১দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত প্রত্যেক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায়। এসময় আদালতে ১৬৪ ধারায় নরসুন্দর জীবন কুমার রবিদাস ও আসামী দিপুর জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।
নির্যাতনের শিকার তরুণীর মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় নারী নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগে পৃথক ধারায় তুফান সরকার, তুফানের স্ত্রী আশা এবং ও তুফান সরকারের বড় বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসানসহ মোট ১০ জনকে আসামী করে দুটি মামলা করেন।
ওই দুই মামলায় আসামী শিমুল ছাড়া সবাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া তরুণী ও তার মায়ের চুল কাটায় সহযোগীতার জন্য নরসুন্দর জীবন রবিদাস ও সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তুফানের শ্বশুর রুনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে তুফান সরকারসহ অন্যান্য আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার সকালে শহরে ঝাড়ু মিছিলসহ নারী মুক্তি সংসদ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জে এস ডি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
বক্তারা বলেন, শুধু তুফান সরকার আর ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার আসামীদের গ্রেফতার করলেই হবে না। তাদের নজিরবিহীন শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।