যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে স্কুলে সাবেক ছাত্রের বন্দুক হামলার ঘটনার আভাস পেয়েও ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় এফবিআই’কে ব্যাপকভাবে তিরস্কার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি অভিযোগ করেন, মার্কিন এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির আর রাশিয়ার যোগসাজশ প্রমাণের চেষ্টায় খুব বেশি সময় নষ্ট করছে। তাই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর দিতে পারছে না।
১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়া ওই হামলা ঘটার আগেই সে সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছিল এফবিআই। কিন্তু সেই তথ্যকে গুরুত্ব দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থাটি। তার ফলেই ঘটে এ বন্দুক হামলা। এই ব্যর্থতার কথা স্বীকারও করে নেয় এফবিআই।
রোববার এক টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে ফ্লোরিডায় স্কুলে হামলাকারীর প্রকাশিত এতগুলো সঙ্কেতের কোনোটাই এফবিআই ধরতে পারল না। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
Very sad that the FBI missed all of the many signals sent out by the Florida school shooter. This is not acceptable. They are spending too much time trying to prove Russian collusion with the Trump campaign – there is no collusion. Get back to the basics and make us all proud!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) February 18, 2018
‘এখানে কোনো যোগসাজশ নেই,’ টুইটবার্তায় বলেন ট্রাম্প, ‘আপনারা মৌলিক বিষয়গুলোর দিকে নজর দিয়ে আমাদের গর্বিত করুন।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেলে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে একটি স্কুলে হঠাৎ বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে প্রতিষ্ঠানেরই সাবেক ছাত্র নিকোলাস ক্রাজ। ফায়ার অ্যালার্ম বাজিয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে আনার চেষ্টা করে সে। ক্লাসরুম থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর এআর-১৫ মডেলের বন্দুক দিয়ে গুলি করে নিকোলাস।
ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি শেরিফ স্কট ইসরায়েল জানান, ক্রাজ স্কুলের বাইরেই গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করে। এরপর ভবনে ঢুকে করিডোরে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আরও ১২ জন। আরও দু’জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে নেয়ার পর।
অন্যদিকে হামলার ঘটনার পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা শনিবার থেকে ফ্লোরিডা জুড়ে প্রতিবাদ র্যালি করছে। তাদের দাবি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন। র্যালিতে ট্রাম্পেরও কড়া সমালোচনা করা হয়। কেননা তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় ন্যাশনাল রাইফেল এসোসিয়েশনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সহায়তা নিয়েছিলেন।
২০১২ সালে কানেক্টিকাটের একটি স্কুলে হামলার ঘটনার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে হামলার সবচেয়ে বড় ঘটনা। ওই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।