ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া আরও দুটি আলাদা মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। গত ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দুটি দায়ের হয়েছিল।
তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, এখন সাংবাদিক কাজলের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় মাগুরা-১ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গত ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান কাজল।
একই আইনে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় তিনি এতদিন মুক্তি পাননি। কাজলের নামে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই দুটি মামলা দায়ের হয়।
নরসিংদী যুব মহিলা লীগের নেত্রী (পরে বহিষ্কৃত) শামীমা নূর পাপিয়ার হোটেল ওয়েস্টিনকেন্দ্রিক কারবারে জড়িতদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ৯ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। এ মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকেও আসামি করা হয়।
এছাড়া গত ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর চর থানায় সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
প্রায় দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রায় সাত মাস কারাবন্দী কাজলের মোট ১৩বার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।