
করোনা সংকট কাটিয়ে এ বছরের মধ্যেই জীবন-যাপন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আগের অবস্থায় ফিরে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তার মতে, পরিকল্পনা মাফিক ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দিতে পারলে এবং দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৫০ এর নিচে নামলে সব কিছু খুলে দেয়া যাবে।
শনিবার অর্থনীতির হালনাগাদ চিত্র এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো ফরাসউদ্দিন বলেন, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং বেসরকারি খাত সবাইকে সোল সার্চিং করা দরকার। বঙ্গবন্ধু এমন বেসরকারি খাত চেয়েছিলেন কি না সেই প্রশ্ন করেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে চেম্বার সভাপতি রিজওয়ান মাহবুব করোনাকালে জীবন-জীবিকা বাঁচাতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
সভায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও নির্ভরযোগ্য এবং সমন্বিত তথ্য-উপাত্ত না থাকার সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা।
ড. মো. ফরাসউদ্দিন বলেন, ১ বছরে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১১ হাজার ৬শ জন। ব্যাংকের মোট আমানতের ৪৭ শতাংশের মালিক ৪৩ হাজার হিসাবধারী।
২০১৬ সালের হিসাবে আড়াই কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ডলার অর্থাৎ ৪ লাখ টাকার ওপরে। অথচ করদাতা মাত্র ২৫ লাখ। এই বেসরকারি খাত কতোটা দায়িত্বশীল প্রশ্ন করেন সাবেক এই গভর্নর।
তারপরও বেসরকারি খাতকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এ সময় ৬ মাস পর পর অর্থনীতির সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরার এই কাজটি ঢাকা চেম্বার চালিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আলোচকরা।