চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পথ আছে-উপায় নেই

খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে খুব বেশি খুশি হতে পারছেন না জাতীয় দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। কন্ডিশনিং ক্যাম্পের প্রথমদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, আরও উন্নতি প্রয়োজন।

টেকসই উন্নতির পথ জানা থাকলেও উপায় নেই আন্তর্জাতিক সূচির ব্যস্ততার কারণে। মারিও মনে করেন, ফিটনেস নিয়ে কাজ হওয়া উচিত এক থেকে দেড় মাস। কিন্তু পর্যাপ্ত সময় পাওয়া সম্ভব নয় একের পর এক সিরিজ বা টুর্নামেন্ট থাকায়। সামনের কয়েকমাস ক্রিকেটাররা কীভাবে নিজেদের ফিট রাখতে পারেন সেটি নিয়েই আগামী চারদিন মিরপুরে চলবে কাজ।

‘বাংলাদেশ দল টানা ক্রিকেট খেলছে সেই অক্টোবর থেকে। পরবর্তী কয়েক মাস খেলোয়াড়রা যেন ফিটনেস ধরে রাখতে পারে সেটি নিয়ে কাজ করছি। ফিটনেস দেখে সন্তুষ্ট তবে খুব খুশি হওয়ার মতো নয়। আরও উন্নতি করা যায়। ফিটনেস ক্যাম্প ৪-৬ সপ্তাহ হলে সেটি খুব কাজে আসে। তবে সেটি এখন সম্ভব না। ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা একদম খারাপ না, সেই দিক থেকে আমি খুশি।’

সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও তার পরপরই জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে সোমবার মিরপুরে ২৩ ক্রিকেটারকে নিয়ে ফিটনেস ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ দল।

৩৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে এইচপির (হাই পারফরম্যান্স) দশ ক্রিকেটার জায়গা পেলেও শ্রীলঙ্কার ইমার্জিং দলের বিপক্ষে সিরিজ চলায় তারা থাকতে পারেননি ক্যাম্পে। বাকি ২৫ ক্রিকেটারের মধ্যে ছিলেন না টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং সাব্বির রহমান।

নিজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে ছুটি নিয়েছেন সাব্বির। সাকিবও আছেন ছুটিতে। ২৪ সেপ্টেম্বর স্কিল ক্যাম্প শুরুর দিন মাঠে ফিরবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

ফিটনেস ক্যাম্প মানেই শুরুর দিন বিপ টেস্ট। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ছাড়া সেই পরীক্ষা দিয়েছেন বাকি ২২ ক্রিকেটার। পরবর্তী ৬ মাস সূচিতে ওয়ানডে সিরিজ না থাকায় মাশরাফীর ফিটনেস নিয়ে ভবিষ্যতে আলাদা করে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কান ট্রেনার।

চোট কাটিয়ে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া জহুরুল ইসলাম অমির ফিটনেস দেখে সন্তুষ্ট ভিল্লাভারায়ন।

গত কয়েকমাসে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল ক্রিকেটারদের ফিটনেস। এমনকি বিশ্বকাপে চোট-আঘাত নিয়ে খেলেছেন অনেকে। কেউ কেউ ছিটকে গেছেন দল থেকেও। ফিটনেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি হারে হারে টের পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ফিটনেসে ঈর্ষনীয় উন্নতি করে বিশ্বকাপে সাকিবের অনন্য পারফরম্যান্সও উদাহরণ হয়ে আছে অন্যদের সামনে।