বুধবার নিখিল জৈন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা ও সাংসদ নুসরাত জাহান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার-ই -জবাব দিতে বিস্ফোরক এক বিবৃতি জারি করলেন স্বামী নিখিল জৈন!
সম্পর্কের জটিলতা,কানাঘুষা নিয়ে গণমাধ্যমে কখনোই নুসরাতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেননি নিখিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই প্রিয় মানুষটির বিরুদ্ধেই বিবৃতি দিলেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আমি নুসরাতকে নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতাম না। কিন্তু বুধবারে ওর বিবৃতি দেখে আমার খারাপ লেগেছে, তাই এই প্রকাশ্যে পাল্টা বিবৃতি জারি করতে বাধ্য হলাম।’
নিখিলের বিবৃতিকে মূলত নুসরাতের আগের দিনের বিবৃতির জবাব বলাই শ্রেয়। কারণ এখানে তিনি নুসরাতের অভিযোগগুলোরই শুধু উত্তর দিয়েছেন।
কেন নুসরাতের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন নিখিল? তার কারণও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নিখিল জানান, ‘আমাদের সম্পর্ক, প্রতারণা, সব বিষয়ে একের পর এক খবর দেখে খারাপ লাগা থেকেই থাকতে না পেরে ৮ মার্চ আমি নুসরাতের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে সিভিল স্যুট অর্থাৎ দেওয়ানি মামলা দায়ের করি।’

আগের দিনের বিবৃতিতে নুসরাত স্পষ্ট বলেছেন, আইনত নিখিলের সাথে তার বিয়ে হয়নি। তাই ডিভোর্সের প্রশ্নই আসে না।
নিখিল তার বিবৃতি এ বিষয়টির জবাব দেন এভাবে,‘একসঙ্গে থাকাকালীন, নুসরাতকে বারবার বলতাম আমাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করে নিতে। প্রত্যেকবার দেখেছি ও সেটা এড়িয়ে যেত।’
নিখিলের অভিযোগ, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে একটা ছবির জন্য শুটিং করতে গিয়েই আমার প্রতি আমার স্ত্রীর আচরণ সম্পূর্ণ বদলে যেতে শুরু করে। কেন? তার সব চেয়ে ভাল উত্তর ওর কাছেই আছে। এপ্রসঙ্গে নিখিল কলকাতা সিনেমার কথাই উল্লেখ করেছেন। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় থেকেই সাংসদ-নায়িকার সঙ্গে যশ দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে আরম্ভ করে।
নিখিলের পরিবারের বিরুদ্ধে মূল্যবান গয়না-জিনিসপত্র আটকে রাখার যে অভিযোগ তুলেছিলেন নুসরাত। বিবৃতিতে তার জবাবও দেন তিনি। নিখিল জানান, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ও আমাকে ছেড়ে চলে যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় ওর ব্যবহৃত সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র, কাগজ এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি। ও বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করে। তার পরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমরা আর কোনও দিন একসঙ্গে থাকিনি। ওর ফেলে যাওয়া যাবতীয় জিনিসপত্র এবং আয়কর সম্পর্কিত নথি সব কিছুই কয়েক দিনের মধ্যে ওর ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
