গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশার অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন। তবে আইন সংশোধন না করে নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখার পাল্টা পরামর্শ দিয়েছেন আরেক সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির সংলাপে যোগ দিয়ে সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরা সকলেই নির্বাচনে সরাসরি সেনাবাহনী মোতায়েনের পক্ষে একমত হয়েছেন। তবে বর্তমান নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে সরাসরি নির্বাচনে ব্যবহারের সুযোগ আছে কিনা সে বিষয়ে মতামত দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে অর্ন্তভুক্ক করতে পারে।পরে এটিকে অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংসদে আইন করা হয়। পরে ২০০৯ সালে তৎকালীন ডক্টর হুদা কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই এ আইন বাতিল করে সংসদ। সাবেক এই কমিশনার আবারো আইনের সংজ্ঞায় ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন।
আইন বাতিল করার পরই ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং হবিগঞ্জের দুটি উপনির্বাচনে সেনাবাহিনী চাওয়ার পরও মোতায়েন করতে পারেনি ইসি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচনী আইনে না থাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও সিআরপিসি এ্যাক্ট অনুযায়ী ১২৭ ও ১৩৩ এর ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পারেনি সেনাবাহিনী। সেই সময়কার কমিশনের সাবেক কমিশনার শাহনেওয়াজ সেনাবাহিনীকে আইন করে আবারো না অানার পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে সাবেক এই দু’জন কমিশনার বিপরীত অবস্থানে থাকলেও ইসির সংলাপ জনগণের আস্থা অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলে মত দিয়েছেন।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
আরও দেখুন সোমা ইসলামের ভিডিও রিপোর্টে: