যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিনদিন পেরিয়েছে। এখনও ভোট গণনা চলছে বেশ কিছু ব্যাটেলগ্রাউন্ডে। পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনায় এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। হয়তো জয় তার পক্ষেই যাবে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বারবার এবং ভিত্তিহীনভাবে নির্বাচনের জালিয়াতির দাবি তুলে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। কিন্তু ট্রাম্পের এমন দাবির সঙ্গে একমত নয় সব রিপাবলিকান সমর্থকরাও। তারাও দুই ভাগে বিভক্ত।
এই বিষয়ে রিপাবলিকান নেতৃত্বের সদস্য সিনেটর রায় ব্লান্ট সাংবাদিকদের বলেন, এক পর্যায়ে হোয়াইট হাউসকে এই ধরনের অভিযোগ আদালতে নিতে এবং প্রমাণ করতে সক্ষম হতে হবে।
সঙ্গে তিনি এও বলেন, আমি মনে করিনা বেসরকারি ফলাফলকে বাইডেনের গ্রহণ করা এবং তিনি যা করতে চান তা করা অযৌক্তিক।

নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সমস্যা তৈরি করা রাজনৈতিক বিভাজন দূর করতে তিনি কাজ করবেন। এসব কাজই বাধাগ্রস্ত হবে যদি বাইডেনের জয়কে অবৈধ বলতে দেশের একটা অংশকে প্ররোচিত করতে সক্ষম হন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রয়টার্স/ ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৩০% রিপাবলিকান ট্রাম্পের দাবি মেনে নিয়েছেন যে তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকান তা মানতে চাননা।
বৃহস্পতিবারে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে বলেন, বৈধ ভোট গণনা করলে আমি সহজেই জিতবো। কোনোধরনের প্রমাণ না দিয়েই তিনি ডেমোক্র্যাটদের ‘নির্বাচনে চুরির চেষ্টা করার’ অভিযোগ তোলেন।
কিছু সিনিয়র রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের এই মতে সমর্থন দেন। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের মাইনরিটি নেতা কেভিন ম্যাককার্থি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে জিতেছেন। তাই যারা শুনছেন তাদের চুপ থাকা ঠিক হবে না।
সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়্যারম্যান লিন্ডসে গ্রাহাম আইনী লড়াইয়ের জন্য ট্রাম্পকে অনুদানেও প্রস্তুত বলে জানান। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি ট্রাম্পের আইনী লড়াইয়ের জন্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের আশা করছে।
তবে অন্য রিপাবলিকানরা এমন টানাটানির লড়াইতে উৎসাহী নয়। ওহিওর সিনেটর রব পোর্টম্যান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছে যাবো বলে আশা করি।
২০১২ সালে রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী সিনেটর মিট রোমনি পরাজয়ের সাথে সাথে আসতে পারেন এমন যন্ত্রণা সম্পর্বে জানেন। তবে নির্বাচনের চুরি হচ্ছে বলে দাবি করার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেন। টুইটারে তিনি বলেন, এমনটি করলে এখানে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার কারণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমন আচরণে নির্লজ্জভাবে ধ্বংসাত্মক এবং বিপজ্জনক আবেগকে উদ্বুদ্ধ করে।