সচেতন নাগরিকদের মুখ বন্ধ করে দেশে সরকার দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে নাগরিকদের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে চাপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদ এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন এ মন্তব্য করেন তারা।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, জনগণের উপর দমন-পীড়ন বন্ধ করুন, নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় গণতন্ত্রকামী জনতার বিক্ষোভে গদি ছেড়ে পালানোর জায়গা পাবেন না। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হোন।

ছাত্র, যুব, শ্রমিক, প্রবাসী অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে হয়রানি, হামলা-মামলা করা হলে অধিকার আদায়ে সচেতন ছাত্র-যুবক, তরুণদের নিয়ে স্বৈরাশাসনের পতনের দাবিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নুর।
দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে তারুণ প্রজন্মকে ৫২, ৭১, ৯০ এর মতো জেগে ওঠারও আহ্বান জানান তিনি।
সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, এসব দমন-পীড়ন বন্ধ না করলে ছাত্র-জনতার ঐক্য গড়ে রাজপথে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জনরোষের বিস্ফোরণ ঘটার আগে সরকারকে জনগণের নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধন শেষে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, সোহরাব হোসেন, আলআমিন, আবু হানিফ, তারেক রহমান ছাড়াও যুব অধিকার পরিষদের নেতা আতাউল্লাহ, আবু তৈয়ব এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।