ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথমবার একজন সিনিয়র জাতিসংঘ কর্মকর্তা যাচ্ছেন নর্থ কোরিয়া সফরে। জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক প্রধান জেফরি ফেল্টম্যান মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং পৌঁছাবেন।
গত সেপ্টেম্বরে ‘নীতিনির্ধারণী আলোচনা’র উদ্দেশে সফরের জন্য জাতিসংঘকে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানায় নর্থ কোরিয়া। তবে সেই আমন্ত্রণের আনুষ্ঠানিক সফরসূচি নিশ্চিত হয় ৩০শে নভেম্বর।
২৯ নভেম্বর নর্থ কোরিয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। সাউথ কোরিয়ার পিয়নগান প্রদেশের পিয়ংসং শহরের কাছ থেকে মিসাইলটি ছোঁড়া হয়। সর্বশেষ মিসাইল পরীক্ষার প্রায় দু’মাস পর জাতিসংঘের গৃহীত নীতিমালার প্রতিবাদে নতুন এই পরীক্ষাটি চালায় নর্থ কোরিয়া। নর্থের দাবি, নতুন এই মিসাইল পুরো মার্কিন ভূখণ্ডেই আঘাত হানতে সক্ষম।
এই মিসাইল পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার বলেন, নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধার আশঙ্কা প্রতিদিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র নর্থ কোরিয়া হুমকি মোকাবিলা করতে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর জবাবে আবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘পারমাণবিক যুদ্ধ মেনিয়ার’ তীব্র নিন্দা জানিয়ে নর্থ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নর্থ কোরিয়া পারমাণবিক যুদ্ধে লিপ্ত হলে এর দায়ভার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা কমাতে ইতিহাসে বিরল এই চারদিনের সফরে যাচ্ছেন জেফরি ফেল্টম্যান। সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিক শুক্রবার পর্যন্ত নর্থ কোরিয়ায় থাকবেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেল্টম্যান নর্থ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তবে কিম জং উনের সঙ্গে এবারের সফরসূচিতে তার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানায়, অন্য কোন অর্থপূর্ণ কূটনৈতিক পথ খোলা না থাকায় সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার যে কোনো সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে জাতিসংঘ। আর এ কারণেই এই সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা।
এর আগে ২০১১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘ কর্মকর্তা ভ্যালেরি আমোস সবশেষ গিয়েছিলেন নর্থ কোরিয়া সফরে।