প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় করোনভাইরাসের কাঠামো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক নমুনাগুলি আরও বেশি মাত্রার সংক্রামক।
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতালের এক দল গবেষক এ তথ্য তুলে ধরেছেন।
বুধবার হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতালের গবেষকরা একটি বড় শহরে সংক্রমণের মাত্রার উপর চালানো এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছে।
হিউস্টন শহরের মহামারীর প্রথম দিকের প্রায় পাঁচ হাজার করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর জিনোম পরীক্ষা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিউস্টন শহরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বাস। সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের ওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে।
গবেষণাটি বাইরের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এখনও পর্যালোচনা করা হয়নি। তবুও এ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রায় সমস্ত স্ট্রেনের একটি মিউটেশন ছিল, যা ডি৬১৪জি নামে পরিচিত। গবেষণায় মুকুট আকৃতির এ ভাইরাসে “স্পাইক” এর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
ভাইরাসের স্পাইকগুলি কোষগুলিতে আবদ্ধ এবং সংক্রামিত হতে দেয়, পরিবর্তিত ভাইরাসের কোষগুলিকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
হিউস্টনের গবেষকরা বলেছেন, দ্বিতীয় দফার করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক নির্ণয়ের সময় ভাইরাসের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি পাওয়া যায়।
তবে ভাইরাসের রূপান্তরগুলি এটিকে মারাত্মক করে তুলেছে এর খুব বেশি প্রমাণ পাননি তারা।