বিজ্ঞাপন
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত এক বছর ৫ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষকে এখানে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
শনিবার ২৯ জানুয়ারি বেলা ১২টায় ঢামেকে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক একথা জানিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিঞা, কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ কর্মকর্তারা।
পরিচালক বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২৮ জানুয়ারি টিকা কার্যক্রম এক বছর পূর্ণ করেছে। এই এক বছরে এখানে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে টিকাদান করেছি। এটি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য মাইলফলক। বর্তমানে দিনে পাঁচ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের জনসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশের এই বৃহত্তম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক।
পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারিতে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঢামেক হাসপাতাল অতি দক্ষতার সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবাদান করে আসছে।
চিকিৎসা সেবার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ঢামেক পরিচালক আরও বলেন, ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জরুরি বিভাগে ২ লাখ ১৯ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। বহির্বিভাগে ৭ লাখের অধিক রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৬ হাজারের বেশি রোগীকে ভর্তি করানো হয়। মেজর অপারেশন করা হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার, মাইনর অপারেশন, ২৭ হাজারের অধিক, কোভিড রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল ১ হাজার ২০০ জনের বেশি। এছাড়া এইচডিইউতে ছিলেন প্রায় ১ হাজার রোগী, সিটি স্ক্যান করা হয়েছে ৩৭ হাজারের বেশি, ইসিজি ২৪ হাজারের বেশি, এমআরআই করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার। বাইসার্জারি করা হয়েছে ২০ জনকে। প্যাথলজি টেস্ট করা হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ।
বিজ্ঞাপন