অধিনায়ক মাশরাফির অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা। তামিম ইকবালের ৩১ এবং শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ২২ ও মাশরাফির ১৫ রানের ওপর ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি২০ ম্যাচে এই জয়। এই জয়ে দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো মাশরাফি বিন মর্তুজার বাংলাদেশ।
মাশরাফির দৃষ্টিনন্দন ছয়ের মারে জয় আসলেও ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এনামুল হকের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের পড়ে টাইগাররা।
স্কোর বোর্ডে ৬ রান যোগ হতেই টিনাশে পানিয়াঙ্গারার বলে রান আউট হয়ে ফিরে যান এনামুল। এনামুলের বিদায়ে তামিমের সঙ্গী হয়েছেন সাব্বির রহমান। সাব্বির ও তামিম স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৩৯ রান।
এরপরই বিদায় নেন সাব্বির। টেন্ডাই চিসারোর বলে আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৬ বলে তিনি সংগ্রহ করেন ১৮ রান। এর ৯ রানের ব্যবধানে মুশফিক ফিরে গেলে তামিমের সঙ্গী হন নাসির।
মুশফিক ২ রান করে ক্রিমারের বলে সিকান্দর রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। দলীয় স্কোর তখন ৫৪। তবে দলীয় ৭৯ রানে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে নাসির ও তামিম বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ এবং লিটন দাসের ব্যাটে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। মাশরাফি ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে।
এর আগে, শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা জিম্বাবুয়ে ওয়ালারের লড়াকু ৬৮ রানের ইনিংসে টাইগারদের সামনে ১৩২ রানের টার্গেট দেয় সফরকারীরা।
অবশ্য, প্রথম তিন ওভারের মধ্যে তিন উইকেট তুলেনিয়ে সফরকারীদের চাপে ফেলে দেয় টিম টাইগার্স।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে বুক চিতিয়ে লড়ে যাওয়া ওয়ালার করেন ৬৮ রান। ৩১ বল থেকে ৬৮ রানের ইনিংসটি ছিলো ৪টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো। ১৮ ওভারের শেষ বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারের চার বল বাকি থাকতেই ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।
টাইগারদের পক্ষে দু’টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, আল আমিন ও জুবায়ের।
প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন ৩১ বলে ৬৮ রান করা ম্যালকম ওয়ালার এবং রবি দেশসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন শুরুতে দুই উইকেট নেওয়া ও ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ১ চার ১ ছয়ে ১৫ রান করা মাশরাফি বিন মর্তুজা।