রোগীর যত্ন ও স্বস্তির প্রতি চরম উদাসীনতার নজির দেখিয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতাল। সেখানে জোর করে দুই অপরিচিত নারী ও পুরুষ রোগীকে একটি ছোট স্ট্রেচারে করে এক্স-রে করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অবস্থিত রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল মহারাজা যশবন্ত রাও হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
রোগী দু’জনের একজন সঙ্গীতার ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। গত ১২ দিন ধরে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি।
তার স্বামী ধর্মেন্দ্র স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সঙ্গীতা অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি। স্ট্রেচার সংকট আছে জানিয়ে ওকে জোর করে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য আরেক পুরুষ রোগীর সঙ্গে শুইয়ে নিয়ে গেল।
আমরা নিরুপায় ছিলাম, কারণ আমরা চাইছিলাম আমাদের রোগী সুস্থ হোক। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ওকে একজন অপরিচিত পুরুষ রোগীর সঙ্গে একই বিছানায় নিয়ে যেতে দিতে রাজি হই।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. পিএস ঠাকুর ওই সময় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, নার্স এবং ওয়ার্ডবয়দেরকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, এ ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ দেয়া হবে।
তবে হাসপাতালে স্ট্রেচারসহ অন্যান্য সুবিধার সংকট থাকার বিষয়টি ডা. ঠাকুরও স্বীকার করেছেন।
সঙ্গীতার স্বামী আরও অভিযোগ করেন, দায়িত্বে থাকা ডাক্তার তার দেয়া সময়ের মধ্যেই রোগী দেখবেন বলেছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর তিনি জরুরি প্রয়োজনেও রোগী দেখেন না। এটাও তাদের বাধ্য হয়ে রাজি হওয়ার অন্যতম কারণ।
মধ্যপ্রদেশ ভারতের সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্যসেবা দানকারী বড় রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। গত সপ্তাহে রাজ্যের জাবালপুরে এক রোগীকে বিছানার চাদরে করে মাটিতে হেঁচড়ে এক্স-রে রুমে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুধু তাই নয়, গত ১৫ জুন বিনা শহরের এক সরকারি হাসপাতালে বয়স্ক এক রোগীকে মৃত ঘোষণা করে সারারাত মর্গে রেখে দেয়া হয়। সকাল বেলা ময়নাতদন্তের জন্য তাকে বের করে আনার পর দেখা যায় তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। ওইদিনই চিকিৎসা চলাকালে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।