জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম।
আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুসারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিম্নোক্ত শর্তে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। শর্তগুলো হচ্ছেঃ
ক. মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন,
খ. উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন,
গ. তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন,
ঘ. তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, “সবারই তো ইচ্ছা থাকে একটা ভালো জায়গায় যাওয়ার। আমার সে ইচ্ছে আল্লাহ পূরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা যে, এমন একটি গুরুদায়িত্ব পালনে আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমার যে কাজ তা সবাইকে নিয়ে করার চেষ্টা করবো।”
এর আগে চলতি বছরের ১ মার্চ তাকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।
অধ্যাপক ড. নূরুল আলম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হল প্রভোস্ট, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন, অর্থ কমিটি, সিনেট এবং সিন্ডিকেট-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি। এছাড়াও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালের ২মার্চ দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। পরে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৮ সালের ২ মার্চ দ্বিতীয় মেয়াদে আরও ৪ বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ।