দুই সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, বিশৃঙ্খলার মাঝেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা, জাল ভোটসহ নির্বাচনে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।
আর এসব অনিয়মের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, এসব অনিয়মের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।
৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে এককভাবে ২৫৭টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এছাড়াও দলটির জোট শরিক জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি ৫টি, গণফোরাম ২টি, বিকল্পধারা ২টি, জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ১টি এবং স্বতন্ত্র ৩টি আসন পায়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেক ৫০টি আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে পাওয়া নির্বাচনে নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৫টি জেলার এই ৫০টি আসন থেকে সংগ্রহ করা তথ্য নিয়ে গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদনটি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করে টিআইবি।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, ওই ৫০টি আসনের মধ্যে ৪২টি আসনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া ৪১টিতে জাল ভোট এবং ৩৩টিতে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। তাই এই নির্বাচন নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। এছাড়া নির্বাচনের অনিয়ম দূর করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল অতি নগণ্য। তারা সব দলের জন্য সমান পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। এমনকি কমিশন প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
নির্বাচন চলাকালে বিরোধী প্রার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বল প্রয়োগ করতেও দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।