
আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকেলে সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন সম্মেলনের তারিখের কথা জানান।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহম্মেদ অডিটরিয়ামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক জরুরী বর্ধিত সভায় যোগ দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন।
বর্ধিত সভা শেষে জাকির হোসাইন সাংবাদিকদের জানান: সাধারণত আমাদের সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাকেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, ওই দিন তার উপস্থিত থাকতে পারা সাপেক্ষে এই দিন ঠিক করা হয়েছে। আমরা নেত্রীকে এই দুই দিনের কথা জানাবো। তিনি উপস্থিত থাকতে পারলে ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সম্মেলন হবে।
এর আগে ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্চ মাসেই অনুষ্ঠিত হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

সেসময় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আমি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। নেত্রীর ইচ্ছা আগামী স্বাধীনতার মাস মার্চে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সম্মেলন করুক।
২০১৫ সালের ২৬ জুলাই সম্মেলনের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন সাইফুর রহমান সোহাগ এবং জাকির হোসাইন। ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে বেশ কয়েক মাস থেকে নতুন নেতৃত্বের দাবি জানিয়ে আসছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ।
এমনকি গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা মেনে সম্মেলনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেয় তারা। পরে অবশ্য সম্মেলনের বিষয়ে হাইকমান্ডের নির্দেশনা পেয়ে পূর্বনির্ধারিত ওই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়।