কোন ধরণের মতৈক্য বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বাদানুবাদপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনার ইতি টানল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এই আলোচনায় তাদের এতটাই মতবিরোধ হয়েছে যে, বৈঠক শেষে দু’পক্ষ কোন যৌথ বিবৃতি দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনগুলোও বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্তের বিষয়ে সমালোচনা করে ‘আরও ন্যায্য’ বাণিজ্যিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বিশ্বের মোট ইস্পাত চাহিদা পূরণে চীনের অতিরিক্ত সরবরাহ মার্কিন উৎপাদনকারীদের ব্যবসায়িক দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাই এর ওপর ট্যারিফ চাপানোর হুমকিও দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কোন যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়নি। এমনকি আলাদা বিবৃতিতেও এসব বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাদাভাবে জানিয়েছেন, এই খাত থেকে এখনও তার দেশের শুল্ক পাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবারের ‘ইউএস-চায়না কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক ডায়ালগ’-এর স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস তার দেশের সঙ্গে চীনের ৩৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকার সমালোচনা করে বলেন, এটা সাধারণ উপায়ে বাজার ব্যবস্থা থেকে পাওয়া নয়।

আলোচনার পর রস এবং আরেক মার্কিন মন্ত্রী স্টিভেন নুচিন ছোট একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিবাদপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে বৈঠকে হওয়া আলোচনা এবং অগ্রগতির খুব সামান্য তথ্য তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে চীন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হয়েছে। দু’দেশ মিলে এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।