গত সপ্তাহে ‘প্ল্যানেটারি প্রটেকশন অফিসার’ নামের একটি পদ সৃষ্টি করে তাতে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)।
বাৎসরিক ছয় অঙ্কের বেতনকাঠামোসহ অন্যান্য অসংখ্য সুবিধার এই লোভনীয় পদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি সবার আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়।
অনেকে আবার পদটি নিয়েই হাসাহাসি শুরু করেন। কারণ বৈজ্ঞানিক কল্পনা নির্ভর এই পদটির সৃষ্টি করা হয়েছে পৃথিবীসহ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্যান্য গ্রহকে এলিয়েনদের আক্রমণ থেকে রক্ষা ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য।
শুধু তাই নয়, পৃথিবী থেকে সৌর জগতের বাইরে যাওয়া নভোযাত্রীরা যাতে পৃথিবীর প্রাণীকূলের জন্য কোন ধরণের ধ্বংসাত্মক জীবাণু বয়ে নিয়ে আসতে না পারেন- এ সংক্রান্ত সুরক্ষার দায়িত্বও এই প্ল্যানেটারি প্রটেকশন অফিসারের।
এই পদে বছরে এক লাখ ২৪ হাজার ইউএস ডলার থেকে এক লাখ ৮৭ হাজার ডলার পর্যন্ত বেতন দেয়া হবে।
কিন্তু এসব আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে অন্য একটি ঘটনা। এই পদে আবেদন করেছেন নিউ জার্সির মাত্র নয় বছর বয়সী এক ছেলে শিশু। নাসার ওই পদে চাকরি আবেদন করতে নিজেকে ‘এলিয়েন’ উল্লেখ করে নিজ হাতে পেন্সিল দিয়ে একটি আবেদনপত্র লিখেছেন জ্যাক ডেভিস নামের ওই বালক।
চিঠিতে ডেভিস নাসাকে লেখেন, ‘প্রিয় নাসা, আমার নাম ডেভিস এবং আমি আপনাদের প্ল্যানেটারি প্রটেকশন অফিসার পদে চাকরির আবেদন করছি। আমার বয়স মাত্র নয় হতে পারে, কিন্তু আমি মনে করি পদটির জন্য আমি উপযুক্ত।’
নিজের যোগ্যতার উল্লেখ করতে গিয়ে ডেভিস লেখেন, তার বোন তাকে ‘এলিয়েন’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি জনপ্রিয় টিভি শো ‘মারভেল এজেন্টস অব সিল্ড’ দেখেছেন।
ওই চিঠির শেষে ডিভিস উল্লেখ করেন যে তিনি ভিডিও গেম খেলতে বেশ পারদর্শী এবং তার ওই চিঠির সব থেকে আকর্ষণীয় অংশ ছিল এই লাইনটি ‘আমি এখন ছোট, সুতরাং আমি একজন এলিয়ানের মতো চিন্তা করতে শিখতে পারবো’।
চিঠির শেষে ডেভিস নিজের নাম লেখার পর নিচে ‘গার্ডিয়ান অব দি গ্যালাক্সি’ এবং ‘ফোর্থ গ্রেড’ এই দুটি শব্দকে নিজের পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে জ্যাক ডেভিসকে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কিন্তু নিজের ওই চিঠির একটি চমৎকার জবাব পেয়েছেন তিনি। নাসার প্ল্যানেটারি সায়িন্স বিভাগের পরিচালক নিজে লিখেছেন তাকে।
ড. জেমস এল. গ্রিণ জ্যাককে পড়াশোনায় আরও মনযোগী হয়ে স্কুলে ভাল রেজাল্ট করতে পরামর্শ দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে তিনি নাসায় কাজ করবেন এমন শুভাকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন।