আর কয়েক ঘন্টা পরই ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। জনমত জরিপগুলো বলছে, এবারে নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি ও এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টির মধ্যে।
নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ব্রিটেনের নির্বাচনী ইতিহাসে অভিবাসী প্রার্থী নিয়ে এর আগে এতো মাতামাতি হয়নি।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ১১ জনের মধ্যে ৭ জনই লেবার পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জনমত জরিপে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রথম বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী ও রুপা হক।
এই তিন হেভিওয়েট প্রার্থী ছাড়াও লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছেন মিরিনা আহমেদ, আনওয়ার বাবুল মিয়া, আলী আখলাকুল এবং এমরান হোসাইন।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হয়েছেন মিনা রহমান। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী আশিক আহমেদ, মোহাম্মদ সুলতান ও সাদিক চৌধুরী।
এবারের নির্বাচনে প্রচারের মূল ইস্যু ছিলো অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন।
কয়েক দশকের মধ্যে এবারই সবচে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। জনমত জরিপগুলো সেরকমই আভাস দিচ্ছে। জনমত জরিপ অনুযায়ি ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টির মধ্যে মূল লড়াই হবে। গার্ডিয়ানের চালানো জরিপে দেখা যায়, দুইদলই ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থানে রয়েছে।
৬’শ ৫০ আসনের মধ্যে কনজারভেটিভরা ২৭৩টির কাছাকাছি আসন পেতে পারে। লেবার পার্টি পেতে পারে ২৬৯টির মতো আসন।তবে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বিই আশাবাদী।
ক্যামেরন বলেছেন, পাঁচ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে, এখনও তার অনেক কিছু করার আছে। আর মিলিব্যান্ড বলছেন, জনগণ তার দলকেই বেছে নেবেন।
যুক্তরাজ্যে সরকার গঠনের জন্য ৩শ’ ২৬টি আসনের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ছোট দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এজন্য স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)কে তুরুপের তাস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জরিপ অনুযায়ি স্কটল্যান্ড থেকে দলটির প্রায় ৫৬টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। জোট হলে কনজারভেটিভ বিরোধী জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারবে।