চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

কোরো না!

পৃথিবীর মানুষ আজ দুঃসময়ের মুখোমুখি। গর্বিত মানুষ আজ আতঙ্কিত। বড় দাম্ভিক মানুষ আজ বিপন্ন। পৃথিবীর মানুষ আজ কাঁদছে। কাঁদছে এক অদৃশ্য এক শত্রুর ভয়ে। শত্রুর উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না, যায় না তাকে বোঝা বা দেখা কিন্তু তার বিস্তার ধেয়ে চলেছে মানবজাতিকে। তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়, আক্রমণের ১৪ দিনের মধ্যে। মানুষ নিরুপায় হয়ে গেছে ছোট্ট ক্ষুদ্র এক জীবাণুর কাছে, যার নাম নভেল করোনা ভাইরাস-১৯

অনিয়মে অভ্যস্ত, নিয়ম নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল, তেড়েফুঁড়ে জীবন কাটানো মানুষ আজ নিজের জীবন সংশয়ে উৎকণ্ঠিত। অর্থ, বিত্ত, বৈভব, ক্ষমতা, শাসন, শোষণ কোন কিছুর পরোয়া করে না এই ক্ষুদ্র করোনা ভাইরাস। দিকবিদিক হয়ে ছুটে চলা মানবজাতিকে লহমায় থামিয়ে দিল করোনা ভাইরাস। মাথা হেট করে দিলো দুনিয়ার তাবৎ শক্তিকে। ক্ষমতার দম্ভে দম্ভিত মানুষ পরাস্ত হল, সুপার পাওয়ার দেশ থেকে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ করোনা ভাইরাস। এ যেন এক প্রতিশোধের নেশায় ক্রোধিত এক ক্ষ্যাপা। কাউকে ছাড়ছে না সামনে পিছনে, আশেপাশে।

Bkash July

অর্থ বিত্তের গর্বে মানুষ দিনে দিনে ত্যাগ করে নিজের বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীকে। মই লাগাতে চাই আরো বিত্তশালী ও ক্ষমতাশীল মানুষের সাথে। করোনা যেন সেই একা করে দেয়াকেই নিয়েছে ব্রত করে, করোনার আক্রমণে মানুষ হয়ে পরছে, একবারে একা! পাশে থাকে না কোন আত্মীয়স্বজন, বাবা,মা, বন্ধু, পাড়া প্রতিবেশি, সহকর্মী কেউ না কেউ না। অসুস্থ কপালে হাত রাখার বা কাছে বসে হাত ধরে থাকার কেউ থাকে না। কপাল ভালো হলে হসপিটালে চিকিৎসা পাওয়া যায়, শুধু ডাক্তার আর নার্সের বাইরে কেউ আসবে না। না মানুষ, না ধন-সম্পদ, না ক্ষমতা। মৃত্যুর খবরেও আসবে না কেউ শেষ দেখে দেখে যেতে।

করোনা ভাইরাস ঠেকাতে, মানুষকে লড়তে হচ্ছে একা একদম একা। একা পাল্লা দিতে হচ্ছে ভাইরাসের সাথে। পাল্লা দিয়ে মানুষ জিতেও যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস মানুষকে পরিষ্কার হতে শেখাচ্ছে, হাইজিন শেখাচ্ছে। নিজের সাথে পাশেরজনের হাইজিন সম্পর্কে সচেতন হতে শেখাচ্ছে। শেখাচ্ছে শিষ্টাচার। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মানুষকে কঠোরভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজনীয়তা শেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস। যেখানে শেখানে থুথু ফেলা, রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ করা, হাত ধোঁয়া খাওয়ার আগে পরে, বাইরে থেকে এসে, টয়লেট করে। নাক মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দেয়া। নাকের ময়লা না খোঁটানো, সঠিক স্থানে ময়লা ফেলা। পরিষ্কার কাপড় পরা।

Reneta June

পৃথিবীর মানুষ আজ পাগলের মত হাইজিন প্রোডাক্টস কিনছে, কিনছে টয়লেট পেপার। সেই সাথে দোকানপাট উজার করে কিনছে খাদ্য সামগ্রী। সক্ষম মানুষ খাদ্য বস্তু কিনে নিজের বাসা বাড়িকে আড়তে পরিণত করছে। কিন্তু ভাবছে না, এক সেকেন্ডের নেই ভরসা। মানুষ এক ঘণ্টা দূরে থাক, একমিনিট পরে কি হবে জানে না, কিন্তু তিন থেকে ছয় মাসের খাদ্য সামগ্রী মজুত করে রাখছে ঘরে। ভাবছে না মরে গেলে খাবে কে?

ব্যবসায়ীরা মানুষের ভয়টাকে আতঙ্কে রূপ দিচ্ছে। সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবে, আর পাওয়া যাবে না, দাম বেড়ে গেছে। মানুষও পাগল হয়ে কিনছে। গ্রোসারী ব্যবসায়ীদের সাথে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরির উপকরণের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ও মজুত করছে, বেশী লাভের আশায়। কিন্তু কেউ ভাবছে না ভবিষ্যৎ কি হবে? কেনার মত মানুষ না থাকলে কার কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করবে।

বিভিন্ন গ্রোসারি শপ ঘুরে দেখে মনে হল সবখানে যেন কাল ঈদ বা ক্রিস্টমাস, দুর্গা পূজা, লোড়ি, নবরাত্রি। মানুষ কিনছে চাল, ডাল, আটা, তেল, লবণ, চিনি, গুঁড়া দুধ, আলু, নুডুলস, পাস্তা, সুজি, কুকি, বিস্কিট, ক্যান্ড ফুড। বিশেষ করে, যে সব খাবার দীর্ঘ দিন মজুদ করা যায়, সবই কিনছে।

রোগের বিস্তার রোধে, বিভিন্ন দেশের সরকার, বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। জমায়েত উপেক্ষা করতে, যেন দুইয়ের অধিক মানুষ একত্রে না থাকে। সামাজিক দূরত্ব বাড়ানোর জন্য সচেতনতায় সরকার সচেষ্ট। কিন্তু দেশে দেশে মানুষ যেমন মানছে সরকারের নির্দেশ, আবার কোথাও কোথাও মানুষ দল বেঁধে চলেছে অ্যাডভেঞ্চার করতে, চলেছে সাগর পানে, পাহাড়ে, বিয়েতে, পিকনিকে, রেস্টুরেন্টে, দাওয়াতে। করোনায় ভয় নেই। ভয় নেই রোগের বিস্তারের কারণ হতে। নিজের সাথে সাথে অপরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে একটুও বিচলিত নয় অনেক মানুষ। তেমনি শুধু নিজে খেয়ে পরে বাঁচলেই হবে ভেবে ঘরে খাদ্য সামগ্রীর মজুত চলছে। আপদকালীন সাবধানতার নামে সমাজের আরো দশটা মানুষের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারা।

গতকাল ৩ ঘণ্টা এদিক ওদিক ঘুরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মিললনা। যা পেলাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচন্ড চাহিদার কারণে এখানে সেখানেই চলছে নকল স্যানিটাইজার বানানোর ব্যবসা। এক ওষুধের দোকানে স্যানিটাইজার না পেয়ে এথানল এলকোহল চাইলাম, ভাবলাম নিজেই বানিয়ে নেব স্যানিটাইজার। কিন্তু বাপু সেখানেও ব্যবসা, দোকানী বলল শেষ। কিন্তু বের হয়ে আসতেই দেখলাম একটি দোকান পরেই ছয়জনের একটি দল, বড় একটা বালতিতে কিছু একটা বানিয়েছে, শেখান থেকে ছোট ছোট পকেট হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলের মত ছোট বোতলে ঢালছে, এর পর আরেক জন তাতে স্টীকার লাগাচ্ছে। কাছে গিয়ে জানলাম স্যানিটাইজার বানাচ্ছে, দেখলাম এথানল ৭০ ভাগ দেয়ার বদলে পানি মেশাচ্ছে ৭০ ভাগ। দেখে মন চাইলো না যে কিনি। পাশের দোকান থেকে ছয়টা কাপড় কাচার সাবান কিনলাম।

দেশের যেকোন পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ ব্যবসা করবেই। হিন্দুস্তান টাইমস ও দ্যা ইকোনিমিক্সের দুটো আর্টিকেলে আসন্ন আর্থিক সংকটের আশংকা করছে। এ আশংকা একেবারে উড়িয়ে দেবার মত নয়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আপাতত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই সমস্ত বিপণিতে চাহিদায় ভাটা। আর তা-ই যদি হয়, তা হলে জোগান আসবে কেন? উৎপাদিত দ্রব্যাদি পড়ে থাকবে ব্যবসায়ীর কাছে। বাড়বে ক্ষতির বহর, কমবে পরবর্তীতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা। এবং শুরু হবে কর্মী ছাঁটাই। এটাই বাজারের নিয়ম। অন্য দিকে ফলমূল, শাকসব্জি, মাছ-মাংসের মতো পচনশীল দ্রব্যের বেলায় সেগুলি নষ্ট হবে আড়তে। প্রভাব পড়বে কৃষকের ওপর। ক্রমশ বন্ধ হবে উৎপাদন, আয় কমবে কৃষক, মৎস্যজীবী, সব্জিওয়ালা সবার। পরিবহণ ব্যবস্থাও আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে পড়তে বাধ্য। কারণ যাত্রী না থাকলে আর কীসের আশায় চলবে বাস-ট্রাক। তার মানে সংকুচিত জোগানের সমস্যা ধীরে ধীরে পর্যবসিত হবে চাহিদার সমস্যায়। ছাঁটাই হওয়া কর্মী, বাস মালিক, ক্যাব চালক, ছোট বড়ো ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, কৃষক, মজুর, হকার সবাই ক্রমশ রাশ টানবে তাঁদের খরচের ওপর। জোগান সংকটের পাশাপাশি তীব্রতর হবে চাহিদা ঘাটতির পরিমাণ। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না। এমনিতেই আমাদের দেশ আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। এবার করোনা সৃষ্ট জোগান ও চাহিদার সাঁড়াশি আক্রমণের সামনে পড়লে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তা সহজে সমাধানযোগ্য নয়। আশঙ্কার কথা এ সব অচিরেই শুরু হবে।

কয়েকটি ইকোনমিক্যাল রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায় “করোনা মোকাবিলায় যদি সাফল্য লাভ করা যায় তবুও সার্বিক ভাবে বিশ্বের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়া নিশ্চিত। তার মূলে থাকবে অসুস্থতাজনিত কর্মক্ষমতার অবনতি, লগ্নিযোগ্য অর্থের অভাব, পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধির দরুন শ্রমিক ও অন্তর্বর্তী দ্রব্যাদি চলাচলে শ্লথটা প্রভৃতি। সে সব সমস্যার প্রভাব হবে দীর্ঘকালীন। এবং তার সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে বাড়বে কালোবাজারির দাপট এবং অবশ্যম্ভাবী আর্থ-সামাজিক সংকট। উদাহরণ হিসাবে নিজের বর্তমান অভিজ্ঞতা ঝালিয়ে নিন। ওষুধের দোকানে গেলে কি হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছেন? আমি তো তিন ঘণ্টা এ দিক ও দিক খোঁজ করেও পাইনি। নিশ্চিত, আপনাদের অভিজ্ঞতাও তা-ই। স্যানিটাইজারের চাহিদা আকস্মিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এ কথা সত্যি। বাজারের নিয়ম বলে এই পরিস্থিতিতে জোগান বাড়বে। কিন্তু বাড়ছে না। কারণ, শ্রমিকের কারখানায় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়াও রয়েছে ভবিষ্যৎ আশঙ্কায় অনেকের বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত ক্রয় করার প্রবণতা। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না যে কালোবাজারিরা ইতিমধ্যে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা বিরাট। গণতান্ত্রিক কল্যাণকামী সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য সেটাই। একই পরিস্থিতি কিন্তু নানা ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বেলাতেও ঘটতে পারে কিছু দিনের মধ্যে। মহামারী, দুর্ভিক্ষের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে এ ভাবেই এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে সমস্যার তীব্রতা স্থানান্তরিত হয়েছে। এবং সেটাই সামগ্রিক বিশ্বের নিরিখে আর্থ-সামাজিক সংকটের অশনি সংকেত”।

বিশ্ব অর্থনীতির সাম্প্রতিক চিত্রের দিকে নজর করলে বোঝা যাবে যে এই আশঙ্কা অমূলক নয়। “ওইসিডি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে বিশ্বের সব দেশের বৃদ্ধির হার ২০১৯-র তুলনায় ২০২০-তে কম হবে। ২০১৯-এ ছিল ২.৯ শতাংশ। ২০২০-তে এই হার ২.৪ শতাংশের বেশী হবে না। যা কিনা ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দা পরবর্তী সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবং এখনই যদি বিশ্বকে করোনামুক্ত না করা যায় তা হলে বৃদ্ধির হার নেমে যেতে পারে ১.৫ শতাংশে। অন্য দিকে নাসার তথ্য অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে অনেকটাই কমেছে। এর কারণ মূলত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, উৎপাদন, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এমনকী বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ক্রমশ নিম্নমুখী। প্রায় ৫০ শতাংশ দাম কমেছে গত কয়েক সপ্তাহে। উৎপাদন, বিনিয়োগ, চাহিদার ঘাটতি কোন পর্যায়ে পৌঁছালে এমন হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য। শুধুমাত্র চিনেই শিল্পোৎপাদন কমেছে ১৩.৫ শতাংশ, খুচরো ব্যবসা হ্রাস পেয়েছে ২০.৫ শতাংশ। বেসরকারি বিনিয়োগের হার ২৬.৪ শতাংশ কমেছে, বেকারত্বের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.২ শতাংশ। হংকং-এ গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব বর্তমানে ৩.৪ শতাংশ। এই পরিমাণ বিভিন্ন দেশে উত্তরোত্তর বাড়বে বলেই অনুমান।

পরিশেষে, আর্থিক সংকটের ভিত্তিতে থাকে মূলত দু’টি বিষয়, বর্তমান আতঙ্ক এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তাজনিত আশঙ্কা। এর ফলে বর্তমানে চাহিদা এবং ভবিষ্যতে জোগান ও কর্মসংস্থান ধাক্কা খায়, মুখ থুবড়ে পড়ে অর্থনীতি। করোনাভাইরাসের প্রকোপের বেলায় তাই-ই ঘটছে। করোনা ক্রমশ পরিণত হচ্ছে ‘কোরো’না তে। যাতায়াত কোরো-না, বিনিয়োগ কোরো-না, উৎপাদন কোরো-না প্রভৃতি। কোরো-না কারণ আশঙ্কা, আতঙ্ক। সমঝে চলাই আপাতত সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা। সুতরাং আর্থিক মন্দা-পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার পটভূমি তৈরি। এখন দেখার স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি দুটোকে সমান্তরাল ভাবে কী ভাবে সামাল দেয় বিশ্বের বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা।

ক্রন্দনরত পৃথিবী আবারো হেসে উঠুক, পার্কে পার্কে শিশুদের কলতান ভরে উঠুক, কিশোরকিশোরীরা উচ্ছল কলতানে ফিরুক স্কুল প্রাঙ্গণে। দুশ্চিন্তা মিলিয়ে যাক নির্মল বাতাসে। মানুষের কলরবে মুখরিত হোক সমাজের বিভিন্ন স্তর, ভালবেসে নির্দ্বিধায় হাত ধরুক প্রেমিক। পিতামাতা বুকে জড়িয়ে ধরুক সন্তানকে। মানবতাহীন পৃথিবী ভরে উঠুক মায়ায়, প্রেম ও ভালবাসায়।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।) 

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View