কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের গোলাগুলিতে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছে। আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকে কেন্দ্র করে কুবির বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
নিহত সাইফুল খালিদ মার্কেটিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান: আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ও ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ৫ জন গুলিবিব্ধ। খবর পেয়ে কুবি প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভর্তি করে।
এদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন সবুজ গ্রুপের খালেদ সাইফুল্লাহকে কুমেক হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সকাল সোয়া ৭টার দিকে মুঠোফোনে কুবির রেজিস্ট্রার মুজিবুর রহমান জানান, শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ খালেদ সাইফুল্লাহ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবরে কুবিতে বিবদমান ওই দু’গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ১ অগাস্ট প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের বেলা ১১টা ও ছাত্রীদের বেলা দুইটার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বেএক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।