শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ এনে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করে এফডিসির ১৭ সংগঠন। তাকে নিয়ে কেউ যেনো সিনেমা না করেন, সে আহ্বানও জানান। তবে এসব থুরাই কেয়ার করছেন পীরজাদা হারুন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, কিসের অবাঞ্চিত, আমি মাত্র শুটিং করে এলাম। আমার মুখে মেকাপ দেয়া আছে। অরুণা বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘অসম্ভব’ ছবির শুটিং করেছি। আমি অবাঞ্চিত হলে শুটিং করতাম কীভাবে?
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অভিনয় শিল্পী সংঘের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পীরজাদা হারুন আরও বলেন, কোনো গঠনতন্ত্রে নেই অবাঞ্চিত করা যাবে। সুতরাং অবাঞ্চিত করা নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। যদি করতাম তাহলে শুটিং করতে পারতাম না।
পীরজাদা হারুন বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এর আগে একাধিকবার একাধিক শিল্পীদের অবাঞ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আবার ঠিক হয়ে যায়। তাই অবাঞ্চিত করা হয়েছে শুনে আমার মোটেও খারাপ লাগছে না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী। যারা হেরে যায় তারা নির্বাচনের পর নানান অভিযোগ তোলে। এটা বাঙালির জাতিগত সমস্যা। বিবেক হলো সবচেয়ে বড় আদালত। আমার বিবেক জানে আমি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে নির্বাচন করেছি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো, নির্বাচনের দিন এফডিসি কেন্দ্রিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের প্রবেশ করতে দেননি পীরজাদা। এ নিয়ে নির্বাচনের দিন থেকেই ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে পরিচালক সমিতির নেতাদের। এরজন্য তারা প্রকাশ্যে পীরজাদাকেই দায়ি করেছেন। এরপর ১৭ সংগঠন মিলে পীরজাদাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তারা।
তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে পীরজাদা হারুন বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কোনো কিছুই একা নিইনি। যারা আমাকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলছেন তারা ভুল বলছেন। এফডিসিতে ভোটের দিন পরিচালকদের ঢুকতে অনুমতি দিইনি এই অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আমার একার না।