২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় এবং দালান নির্মাণে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে করহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, অঘোষিত অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিলে ওই অর্থের উৎস সম্পর্কে আয়কর বিভাগ থেকে কোনও প্রশ্ন তোলা হবে না।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
কালো টাকার বিনিয়োগ বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে পণ্য বা সেবা উৎপাদনজনিত উদ্ভূত আয়কে ১০ বছরের জন্য বিভিন্ন হারে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনে অপ্রদর্শিত আয় থেকে বিনিয়োগ করা অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিলে তার উৎস সম্পর্কে আয়কর বিভাগ থেকে কোনও প্রশ্ন করা হবে না। এ-সংক্রান্ত একটি বিধান আয়কর অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, বিদ্যমান আইনে নির্দিষ্ট হারে কর দিলে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় এবং দালান নির্মাণে বিনিয়োগ করা অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হয় না। তবে এই হার বেশি হওয়ায় করদাতারা খুব একটা সাড়া দিচ্ছেন না। ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় ও দালান নির্মাণে বিনিয়োগ স্বপ্রণোদিতভাবে আয়কর নথিতে প্রদর্শনে করদাতাদের আরও আগ্রহী করার জন্য এ-সংক্রান্ত বিদ্যমান করহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর জাতীয় সংসদে উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপন শেষ করেন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।