দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে পুলিশের সদস্যরা যেভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাতে পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে নিজেকে গর্বিত ও সম্মানিত মনে করছেন ড. মুহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বৃহস্পতিবার বিকালে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘করোনার বিস্তাররোধে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য যেভাবে দেশ ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে, জনগণকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি নিজের, অধীনস্ত সদস্য, সহকর্মী এবং পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেককে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে, যেন কোনোভাবেই জনসমাগমের সুযোগ সৃষ্টি না হয়। সরকার নির্দেশিত সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এবং হোম কোয়ারেনটাইন বাস্তবায়নে পুলিশের কার্যক্রমের বর্তমান সফল ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।’’
করোনাভাইরাস ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। একদফা সময় বাড়িয়ে ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এই সময়ে সাধারণ মানুষের অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে সরকার। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে অনেকের আয় কমেছে। সেই অবস্থায় ঢাকাসহ সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার সরবরাহের কাজ করছে পুলিশ।
গত ২৭ মার্চও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন আইজিপি।
তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘জনজীবন সচল রাখতে চিকিৎসা, ওষুধ, নিত্যপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং ও মোবাইল ফোনসহ আবশ্যক সকল জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও যানবাহনের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করুন। দায়িত্ব পালনকালে সাধারণ জনগণের সাথে বিনয়ী, সহিষ্ণু ও পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন।’