দিন দিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সরকারের অঘোষিত লকডাউনে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনসহ গোটা দেশ। অন্যদিকে গার্মেন্টস খোলা ও বন্ধ ঘোষণার হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই দিকেই মানুষের ঢল! গণপরিবহন সংকটে পায়ে হেঁটে দলে দলে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সকাল থেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে মানুষের স্রোত। নেই কোন গণপরিবহন। অল্পকিছু খোলা ট্রাক, পিকআপ, পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়ালেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। চরম ঝুঁকি নিয়েই গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা। সকালের দিকে ঢাকামুখী স্রোত থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উল্টোমুখি স্রোতেরও ঢল নামে। পুলিশি তৎপরতায় সীমিত হয়ে যায় তাও। বিভ্রান্ত মানুষগুলি সিদ্ধান্তহীনতায় পায়ে হেঁটে রওনা দেয় যে যার গন্তব্যে। মানুষের ঝরে পড়া ঘামে মহাসড়কে রচিত হতে থাকে একেকটি মানুষের অবর্ণনীয় কষ্টের গল্প।
এসব মানুষ বলছেন, কর্তৃপক্ষের হঠাৎ সিদ্ধান্তে দিকভ্রান্ত তারা। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। চরম ক্ষুব্ধ মানুষগুলি পথে পথে পুলিশের হয়রানিসহ বলছেন নানা অভিযোগের কথা।
পুলিশি হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এটিএস আই মকবুল হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই পণ্যবাহী পরিবহণ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষের এমন হঠাৎ হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলের ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় নীতির শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
