উখিয়ার কুতুপালং থেকে পালংখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় এখন কেবল রোহিঙ্গারা। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের দুই তৃতীয়াংশই আশ্রয় নিয়েছে এ এলাকায়। এখানে ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খলার কারণে তাদের ভোগান্তিও চরমে।
উখিয়ার কুতুপালং থেকে পালংখালী, দু’টি শরনার্থী ক্যাম্পের মাঝের পথের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার, যার পুরোটাতেই এখন শুধুই রোহিঙ্গা। দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্যমতে, এই ১০ কিলোমিটার এলাকার মাঝেই প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
দেশী-বিদেশী সংস্থাগুলোর তৎপরতাও এখানে চোখে পড়ে। ইরান থেকে এসে রেডক্রিসেন্টের একটি টিম কাজ করছে রোহিঙ্গাদের জন্য। এছাড়া এ সড়কে মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ত্রাণবাহী কাভারভ্যানের। ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খলাও চোখে পড়ে এখানেই।
এভাবে এলোমেলো ত্রাণ বিতরণ করায় শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের অনেককেই ত্রাণ না পেয়ে অসহায়ের মত বসে থাকতে হচ্ছে। অবশ্য মিডিয়াকর্মীদের সহায়তায় ত্রাণের লাইনে কিছুটা শৃঙ্খলা ফেরে।
ত্রাণের ট্রাকের এ এলোমেলো অবস্থানে রাস্তায় তখন দীর্ঘ যানযট। ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খলার এ চিত্র এখন পুরো উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত। এ ১০ কিলোমিটার এলাকায় শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।