
চতুর্থ দিনেই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ভাগ্য আঁচ করা যাচ্ছিল। নিষ্প্রাণ ড্রয়ের সম্ভাবনা দেখে লক্ষ্য ছুঁড়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে আর ব্যাটিংয়ে ডাকেনি পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের দুই ওপেনারের শতকের পর ড্রয়েই মাঠ ছেড়েছে বাবর আজমের দল।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৪৭৬ রানের জবাবে নিজেরা প্রথম ইনিংস ৪৫৯ রানে শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান লিড তোলে ১৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকরা ২৫২ রান তুলে ফেলার পর আসে ড্রয়ের পরিসমাপ্তি।
মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষদিনে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করে প্যাট কামিন্সের দল। আগের দিনের ৪৪৯ রানের সাথে মাত্র ১০ রান যোগ করেই গুটিয়ে যায় তারা।
ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে কোনো সুযোগ না দিয়ে দিনের খেলা শেষ করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক জোড়া শতক তুলে মাঠ ছাড়েন। যে পথে ইমাম গড়েছেন অসাধারণ এক কীর্তি।

প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক তুলেছেন ইমাম। ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রানের ঝলমলে ইনিংস ছিল তার।
একই টেস্টে দুই ইনিংসে শতক হাঁকানো দশম পাকিস্তানি হলেন ২৬ বর্ষী বাঁহাতি ব্যাটার ইমাম। আগে এমন কীর্তি একবার আছে তার চাচা ইনজামাম-উল-হকেরও। ইমামের দিনে আরেক ওপেনার শফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৩৬ রান। প্রথম ইনিংসে ৪৪ করেছিলেন শফিক।
এই টেস্টে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। ইমামের দেড়শ পেরোনো ইনিংস ও আজহার আলির ১৮৫ রানে ৪ উইকেটে পৌনে পাঁচশর কাছে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি।
পরে উসমান খাজার ৯৭, মার্নাস লাবুশেনের ৯০ রানে ৪৫৯ রানে যেয়ে থামে অজিরা। মাঝে বৃষ্টির বাগড়ায় একটা লম্বা সময় খেলা হয়নি।
মরা পিচে বোলাররা ধুঁকেছে ম্যাচজুড়েই। যা নজর এড়ায়নি আইসিসির। রাওয়ালপিন্ডির উইকেটকে ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১২ মার্চ করাচিতে আবারও নামবে দুদল।