
ইটালির রাজধানী রোমের ৫ পৌরসভায় কিছু দালাল চক্র বহুদিন থেকে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র প্রদর্শন করে রেসিডেন্ট কার্ড বানিয়ে আসছিলো।
ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসলে তাৎক্ষনিক ৯ জন বাংলাদেশী দালাল ও ৩ জন ইটালিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। রোম সিটি কর্পোরেশনের আনাগ্রাফি বিভাগে কর্মরত তিনজন ইটালিয়ান কর্মকর্তার মাধ্যমে মূলত এই দালাল চক্রটি অবৈধ কাজগুলো করে আসছে।
ইটালির জাতীয় পত্রিকা (জার্নাল দি রিপুবলিকা)র থেকে জানা যায়, এদের মধ্যে ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়, তাদের স্বজনদের গৃহবন্দী করা হয়েছে এবং ৩ জনকে প্রতিদিন থানায় গিয়ে স্বাক্ষর প্রদান করার মুচলেকা দিতে হয়।
পত্রিকায় আরো জানা যায় যে সকল ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ইটালিতে বসবাসের জন্য স্টে পারমিট করা হয়েছে তাও ভুয়া বলে গণ্য করা হবে। সংবাদপত্রে দিদার ও অনোয়ার হোসেন নামের ২ জন বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশী কমিউনিটির ব্যাক্তিবর্গ বলেন, কাগজ পত্রের সমস্যা থাকলে তা বৈধ উপায়ে সমাধান করা যায়। দালালদের খপ্পরে পড়ে কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদেরকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। কেউ যাতে দালালদের খপ্পরে পড়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সৌজন্য নবায়ন না করেন।
ইটালিতে নতুন আসা প্রবাসীদের আরো সচেতন হতে হবে। তারা যাতে কোনো ভাবে দালালদের শরণাপন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব দালাল থেকে প্রবাসীদের দূরে থাকা উচিত।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকারের ইমিগ্রেশন নীতি দিন দিন অত্যন্ত কঠোর করছে এর মধ্যে বাংলাদেশীরা এহেন ঘটনার সাথে জড়িত প্রমাণিত হওয়ায় ইটালীয় প্রশাসনের একটা বিরূপ ধারণা জন্ম নেবে এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিকে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিবে।
বিজ্ঞাপন
ইটালীয় ভাষা, আইন কানুন সামান্য হলেও আমাদের সকলের জানা ও শেখা দরকার
বিজ্ঞাপন