কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করতে আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের। গুলশানের হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে ওই নারী জঙ্গিরা। রিমান্ডে জিজ্ঞাসায় পুলিশকে এমন তথ্যই দিয়েছে মিরপুরে গ্রেফতার হওয়া নারী জঙ্গিরা।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন সরকারী কলেজ ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জঙ্গি তৎপরতায় জড়াতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। হেড কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ধানমন্ডির একটি বাসাকে। ওই বাসায় এক পাকিস্তানী নারীসহ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের যাতায়াত রয়েছে। সেখানেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে মিরপুর থানার মামলায় আটক ৪ নারী জঙ্গিকে। তবে কোন জঙ্গি সংগঠনের ব্যনারে খিলাফত প্রতিষ্ঠার অপারেশনে নামানো হবে তা জাননো হয়নি তাদের ।
মিরপুর মডেল থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ভুঁইয়া মাহাবুব হাসান জানান, তাদেরকে আইনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইসলাসের আইনের সঙ্গে দেশের বর্তমান প্রচলিত আইন সাংঘর্ষিক। তাদের কথা একটা ইসলামের আইনে বলা আছে জিহাদ করা যাবে। তারা দেশে ইসলামের আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটার জন্য যদি তাদের মৃত্যু বরণ করতে হয় তাহলে তারা মৃত্যু বরণ করবে।
গুলশানে কমান্ডো অপরেশনে জঙ্গি হত্যায় ক্ষুদ্ধ ওই নারীরা।এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহাবুব হাসান বলেন: ইসলামের জন্য যারা জিহাদ ঘোষণা করছিলো তাদেরকে কেনো হত্যা করা হলো। যেমন আকালিমা বলছিলো-আমি ওই ইসলামের জন্য যদি আমার জীবন দিতে হয় তাহলে আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। একদম সরাসরি এই কথাটা বলে।
রাজধানীতে আত্মঘাতি জঙ্গি বানাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এমন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ডজন দুয়েক ছাত্রীর নাম পরিচয় গোয়েন্দাদের কাছে ফাঁস করেছে জঙ্গি নেত্রী আকলিমা। গ্রেফতার ৪ নারীকে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে পুলিশের পর এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব।
গুলশানের হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলা ও বিদেশীদের হত্যাকাণ্ডের পর গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আসে রাজধানীর বিভিন্ন আত্মঘাতী সংগঠনের কথা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় ৪ নারী জঙ্গিকে।