
কানাডার ডেনফোর্থস্থিত স্টার প্লাস রেস্তোরাঁয় ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কানাডার এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নিরু চাকলাদারের সঞ্চালনায় সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড মহামারীর কারণে দীর্ঘ বিরতিতে স্বশরীরে উপস্থিত এই সভা অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও প্রাণবন্ত ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাতিসংঘের ৭৬ তম অধিবেশনে যোগদান করতে নিউইয়র্ক আগমন উপলক্ষে কানাডা থেকে নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দলের নিউইয়র্কে যাওয়া ও সাংগঠনিক বিষয়াবলী এই দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার প্রারম্ভে দলের দপ্তর সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন সূচনা বক্তব্যে সভাপতির নেতৃত্বে নিউইয়র্কে একটি প্রতিনিধি দল যাবার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এই বক্তব্যকে সমর্থন করে দলের সহ-সভাপতি যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিবুর রহমান, তোফাজ্জাল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহিয়া আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ বজলুর রশিদ বেপরী সদস্যবৃন্দের মধ্যে মাসুদ সিদ্দিকী, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক লিটন মাসুদ , ক্যুইবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি কবি সহিদ রাহমান, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ও কানাডা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা আক্তার জানু তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে সহিদ রহামন সংক্ষিপ্তাকারে সভানেত্রীর নিউইয়র্ক সফর সূচী তুলে ধরেন। কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নিউইয়র্ক যাবার সিদ্ধান্তও সভায় গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে সাংগঠনিক বিষয়াবলীর উপর বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে এমরুল ইসলাম, মুর্শেদ আহমেদ মুক্তা, সদস্যবৃন্দের মধ্যে তাজুল ইসলাম, জুটন তরফদার, কামরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ।

বক্তাদের বক্তব্যে দলে বিভাজন সৃষ্টিকারী মুষ্টিমেয় সদস্যের অবাঞ্ছিত কার্যকলাপ সহ কানাডা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিয়ে কতিপয় ব্যক্তির বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয় গুলো উঠে আসে। দীর্ঘদিন থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়দের পরিবর্তে যাদেরকে অতীতে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল তাদের পদায়ন সাপেক্ষে দলের কর্মকাণ্ড গতিশীল করার জন্য সভাপতি যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সে ব্যাপারটা আলোচনায় উঠে আসে।