বিরাট কোহলি না মহেন্দ্র সিং ধোনি? কাগজ-কলম বলছে বিরাট কোহলি। কিন্তু জহুরি চোখে মাঠের ছবি পরখ করতে গেলে ধোনিকে এখনও অধিনায়ক বলে মনে হয়। এনডিটিভির এক খবরে সেই কথাই উঠে এসেছে।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল টি-টুয়েন্টিতে ধোনির শারীরিক ভাষা ছিল চোখে পড়ার মতো। উইকেটের পেছন থেকে বিরাট কোহলির চেয়ে বোলার-ফিল্ডারদের তিনিই বেশি নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। ঠিক যেন ছায়া ক্যাপ্টেন।
সুরেশ রায়না ১৪তম ওভারে বল করতে আসেন। ঠিক তার আগের ওভারে ১৬ রান দিয়ে যান অক্ষর প্যাটেল। রায়না প্রথম তিন বলে তিন রান দেন। তার চতুর্থ বলের আগে ধোনি বলতে থাকেন, ‘দান্দে পে তেজ মাত ডালনা। দান্দে পে তেজ মাত ডালনা। দান্দে পে তেজ মাত ডালনা।’
অর্থাৎ ‘স্টাম্প বরাবর জোরে বল করিস না।’ ধোনির এই নির্দেশনা স্টাম্পের মাইক্রোফোনে ভেসে আসে।
শুধু নির্দেশনার কারণেই ধোনির বিশেষত্ব প্রকাশ পাচ্ছে না। ব্যাটসম্যানের ক্ষমতা আর ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে পারার কারণেই তিনি অনন্য। কিন্তু সেটা অনুভব করতে পারেননি রায়না। ধোনি যেভাবে বল করার নির্দেশ দেন, ঠিক তার উল্টোটা করেন তিনি। পরিণামে ব্যাক-টু-ব্যাক বাউন্ডারি!
তখন স্ট্রাইকে ছিলেন সাউথ আফ্রিকার অভিষিক্ত ক্রিকেটার ক্রিশ্চিয়ান জোনকার। জোনকার কিভাবে, কোন বল ভালো খেলেন, তা ধোনির জানার কথা নয়। অথচ কয়েকটি বলে তার ব্যাট চালানো দেখেই ক্যাপ্টেন কুল তার ক্ষমতা বুঝে নেন। রায়না ওই ওভারে কয়েকটি বাউন্ডারি হজম করলেও ম্যাচটি জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে ভারত।
শুধু সেদিন নয়। আগেও অনেকবার দেখা গেছে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোহলি ধোনির কাছে চলে যাচ্ছেন। সাবেক অধিনায়ক যেটা বলছেন, সেটাই করছেন।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এটি চোখে পড়েছিল। যার ভুক্তভোগী হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
সেটি সেমিফাইনালের কথা। ২৮তম ওভারের খেলা চলছে। উইকেটে দুই সেট ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম। শতরানের জুটি গড়ে জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেন। হঠাৎ সবাইকে অবাক করে কেদার যাদবের হাতে বল তুলে দেন কোহলি। নিজের প্রথম ওভারেই বাজিমাত করেন কেদার। ভয়ঙ্কর হতে থাকা তামিম ইকবালকে (৭০) বোল্ড করেন। ওই স্পেলেই ফেরান ৬১ রান করা মুশফিকুর রহিমকে। ম্যাচ যায় ঘুরে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে কোহলি নিজেই জানান, ধোনির পরামর্শে কেদারকে আক্রমণে আনেন তিনি।
টিম ইন্ডিয়ার সাউথ আফ্রিকা সফরও বলছে, মাহি পদ ছেড়েছেন ‘দাদাগিরি’ ছাড়েননি।
বিজ্ঞাপন