চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছে ২৮৪ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ ২৩ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। এ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। সেই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয়ও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অক্টোবর মাসের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছিল ২৬৭ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের অক্টোবরে রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছে ২৮৪ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছিল মোট ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাস অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ১৫৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৭৪ শতাংশ কম।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবারের রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৭৫ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের শুরুর দিকে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হোঁচট খেলেও অক্টোবরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৯৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৩২ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ১১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রপ্তানিতে ৪৯৮ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে ৪৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এছাড়াও রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া খাতগুলোর মধ্যে- বিল্ডিং সামগ্রী ১০৪ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সুতা ও সুতার পণ্যে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, কাগজ ও কাগজের পণ্যে ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং হিমায়িত ও জীবিত মাছ থেকে ৩৭ দশমকি ২১ শতাংশ রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে।