সৌদি আরবে গ্যাসের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে যথেষ্ট উৎপাদন হয়। অতএব সৌদি আরবে দাম বাড়লেও বাংলাদেশে বাড়ার কথা নয়।
আগামী নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে গ্যাসের দাম বাড়বে প্রায় ৮০ শতাংশ। মধ্য প্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমান ও কুয়েত-এই দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানী গ্যাসের দাম তুলনামূলক সবচেয়ে কম সৌদি আরবে। তাই দামে সামঞ্জস্যতা আনতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির সৌদি গেজেট পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, অকটেন-৯১ গ্রেড প্রতি লিটার গ্যাসের দাম ৭৫ হালালা থেকে বেড়ে হবে এক রিয়াল ৩৫ হালালা। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রতি লিটার গ্যাসের দাম ১৩ টাকা ১২ পয়সা বেড়ে হবে ২৯ টাকা ৫১ পয়সা। যেখানে প্রতি লিটারের বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩৯ পয়সা।
আর অকটেন-৯৫ গ্রেড প্রতি লিটার গ্যাসের দাম ৯০ হালালা থেকে ৭২ হালালা বেড়ে হবে এক রিয়াল ৬২ হালালা। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রতি লিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা ৭৪ পয়সা বেড়ে হবে ৩৫ টাকা ৪১ পয়সা। প্রতি লিটারের বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা।
তবে সৌদি আরবে গ্যাসের দাম বাড়লেও তা বাংলাদেশে কোনো প্রভাব ফেলবেনা বলে মনে করেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।
তারা মনে করেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ গ্যাস উৎপাদন হয় তা অভ্যরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। বিদেশ থেকে খুব বেশি আমদানি করতে হয় না। তাই দামে প্রভাব পড়ার কথা নয়।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন-ক্যাবের জ্বালানী উপদেষ্টা ড. শামুল আলম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পর পর কয়েক দফা তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে কমেনি। তুলনামূলক দাম বেশি। আর বাড়ানো হবে অযৗক্তিক।
তিনি বলেন, সৌদি আরব দাম বাড়াবে অকটেনের। কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিমাণ অকটেন উৎপাদন হয় তা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের খুব বেশি অকটেন আমদানি করতে হয় না। অতএব সৌদি আরব অকটেনের দাম বাড়ালে বাংলাদেশে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে জানান এই জ্বালানী বিশেষজ্ঞ।
প্রায় একই কথা বলেন, তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
তিনি চ্যানেল আই অনলেইনকে বলেন, বাংলাদেশ তো সৌদি আরব থেকে তেল-গ্যাস কিনে না। প্রভাব পড়বে কেন? এছাড়া বাংলাদেশে তো সবকিছুর দাম এমনিতেই বেশি। যেখানে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমে সেখানে বাংলাদেশে বাড়ে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।