তারেক রহমান দেশের সকল সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের ‘শ্যাডো গডফাদার’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। সম্প্রতি সিএনএনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের সূত্র ধরে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেছেন: তারেক রহমান বাংলাদেশের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের শ্যাডো গডফাদার তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ১২৫টি উগ্র-মৌলবাদী গোষ্ঠীও তৎকালীন সরকারের মদদে প্রতিষ্ঠিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে সেটেলমেন্ট প্রেস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন আয়োজিত প্রতিনিধি সভার প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি তুলে ধরে হানিফ বলেন: আন্তুর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় আজ তারেক রহমানের সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ উঠে আসছে। মুফতি হান্নানও ২১ আগষ্ট বোমা হামলা মামলায় ওয়ান সিক্সটিফোর ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশে বোমা হামলার আগে কোথায় কোথায় তারেক রহমানের সঙ্গে ৪ বার বৈঠক করেছে তার বিবরণ রয়েছে ওই জবানবন্দীতে।
প্রতিনিধি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে খালেদা বারবার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আগুন ছড়াচ্ছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিটি নেতা কর্মী রাজপথে রয়েছে। খালেদা জিয়ার স্বপ্ন কখনই বাস্তবের রূপ দেখবে না।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক জোটের সমালোচনা করে হানিফ বলেন: জামায়াত এমন একটি দল যারা বরাবরই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে রাজনীতি করে এসেছে। তারা একাত্তরে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে গণহত্যা চালিয়েছে। এদেশের নারীদের গনিমতের মাল বলে ফতোয়া দিয়েছে। ধর্ষণ-নির্যাতন চালিয়েছে। আজ বিএনপি তাদের সঙ্গে জোট করে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। এর কারণ হিসেবে, দু’দলের-ই শেকড় পাকিস্তানে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
২০১৫ সালে বিএনপির ৯০ দিনের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হানিফ বলেন: ২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা ছেড়ে গিয়েছিলাম দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ৪ হাজার মেগওয়াটের বেশি। কিন্তু তারা ক্ষমতা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বিপরীতে তা কমিয়ে ৩ হাজার মেগওয়াটে নিয়ে আসলো। আজ দেশ যখন সকব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেত্রী অবরোধের নামে দেশে অগ্নি-সন্ত্রাস চালিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যা করছেন।
আলোচনায় সেটেলমেন্ট প্রেস শ্রমিক কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। তার জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন: এই অফিসে ৪৬৮ টি পোস্ট রয়েছে যার মধ্যে ২০০টি-ই শূন্য! তারপরও এই কর্মচারীরা দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য সকলবে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।