শ্রমিকের অধিকার সুনিশ্চিতে আইনি হাতিয়ার হিসেবে আমাদের দেশে রয়েছে “শ্রম আইন ২০০৬”, তবে শ্রম আইন ‘শ্রমিক বান্ধব আইন নয়’ বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
“শ্রম আইন ২০০৬” এ শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরীর হার নির্ধারণ, মজুরী পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্যে ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শিল্প বিরোধ উত্থাপন ও নিষ্পত্তি, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও চাকুরীর অবস্থা ও পরিবেশ এবং শিক্ষাধীনতা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি উল্লেখ রয়েছে।
তবে শ্রম আইন যে শ্রমিক বান্ধব নয় তার যুক্তি হিসেবে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এই আইনে শ্রমিকদের যে ক্ষতিপূরণের বিষয় উল্লেখ রয়েছে, তা অনেক ক্ষেত্রে হাস্যকর! এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ একেবারেই কম। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে শ্রমিকের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পাবার ক্ষেত্রেও রয়েছে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার বেড়াজাল।
এই শ্রম আইনের আলোকে শ্রম আদালতে যে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয় তা দৃশ্যত ধীরগতির। বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালত থেকে মালিক পক্ষের বার বার সময় নেয়ার প্রবণতা বিচার পুরো প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে তোলে। যা সঠিক সময়ে শ্রমিকের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে বিরাট অন্তরায়।
তাই শ্রমিকদের অধিকার প্রদান সুনিশ্চিতে শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করা দরকার বলে মনে করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তার মতে এই আইনকে বর্তমান সময়ের বাস্তবতার আলোকে করতে হবে। সেই সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে গতিশীলতা আনতে শ্রম আদালতকে ‘দ্রুত বিচার আদালতের’ মত কার্যকর করতে হবে। তাহলেই হয়তো একদিন শ্রম আইনকে ‘শ্রমিক বান্ধব আইন’ বলা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন খুরশীদ আলম খান।