কোন একটা মাধ্যম থেকে হঠাৎ করেই গোপন খবর আসে… নম্বর ফ্লাইটের …যাত্রীর কাছে …পিস স্বর্ণের বিস্কুট। শুরু হয় প্রস্তুতি। এরপর অপেক্ষার পালা। শেষ পর্যায়ে সংবাদ শিরোনাম, …কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার কিংবা …কেজি স্বর্ণসহ আটক। এমন সব রহস্যঘেরা অভিযানের অনেকগুলো ঘটনার এক গোয়েন্দা গল্প- ‘স্বর্ণমানব’।
বইটি মূলত সোনা চোরাচালানের পেছনের কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা স্বর্ণ আটক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন। কিন্তু তার পেছনের কাহিনী জানেন না; তাদের জন্যই এ বই।
‘স্বর্ণমানব’ একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার ব্যক্তি জীবনের নানা রোমাঞ্চকর অভিযানের বর্ণনাময় একটি বই। এবারের বই মেলায় পেশাদার গোয়েন্দা মইনুল খানের লেখা বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। মেলার ১১ নং প্যাভিলিয়ন থেকে বইটি কেনা যাবে।
লেখক বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি সময়ের স্বর্ণ চোরাচালান আটকের চমকপ্রদ সব কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। যা অনেক পাঠকের কৌতুহল মিটাবে। পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করার পর ১৯৯৪ সালে শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগে যোগ দেন মইনুল খান। এরপর থেকেই তিনি স্বর্ণ, মুদ্রা, মাদক, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়িসহ নানা পণ্যের চোরাচালান আটকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগাইজেশন (ডব্লিউসিও) থেকে বেস্ট অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। বিষয়ভিত্তিক লেখার পাশাপাশি ভ্রমণ কাহিনী ও ছোট গল্প লিখেন। জাগৃতি প্রকাশনী থেকে তার লেখা ‘পুরুষের চল্লিষা’ ও ‘গুডাই সিডনি’ (২০১৪) প্রকাশিত হয়।
‘স্বর্ণমানব’ বইয়ের লেখক পরিচিতি অংশে বলা হয়েছে, ‘স্বর্ণমানব’ মূলত আটটি গোয়েন্দা কাহিনির সংকলন। পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে স্বর্ণসহ নানা পণ্যের চোরাচালন ও শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করতে হয়েছে। প্রতিটি অভিযান রহস্যেঘেরা একেকটি গোয়েন্দা গল্প। এই বইতে চোরাচালানের কাহিনীর পেছনের কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
চোরাচালানের ঘটনা যারা অনুসরণ করেন, তারা আটক দৃশ্য দেখে হয়তো মুগ্ধ হন। তবে নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলায় সফল হওয়ার কাহিনীগুলো সম্পর্কে জানার তীব্র বাসনা থাকে অনেকের। বইটিতে বাস্তব ঘটনার আলোকে এসব অভিযানের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ও গোয়েন্দা কৌশলগুলো গল্প আকারে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে।
বই প্রসঙ্গে লেখক বলেন, কাহিনীর প্রয়োজনে প্রকৃত ঘটনার চরিত্র্র ও তথ্যে সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জন করা হলেও আশা করা যাচ্ছে গল্পগুলো গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে পাঠকের খোরাক জোগাবে এবং পাঠকের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।