টেস্ট অভিষেকটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড বধে অভিষেক সিরিজ করে রেখেছিলেন স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কায় শুরু ওয়ানডের পথ চলাটাও মনে রাখার মতই। বাকি ছিল টি-টুয়েন্টির যাত্রা। প্রেমাদাসায় বৃহস্পতিবার সেটাও হয়ে গেল মেহেদী হাসান মিরাজের। চক্রপূরণ হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে নামার।
প্রেমাদাসায় দুই টি-টুয়েন্টির সিরিজের দ্বিতীয়টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেমেছে বাংলাদেশ। যাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত এই ম্যাচ দিয়েই টি-টুয়েন্টির ক্যাপ তুলে রাখতে যাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার। সেই ম্যাচেই ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে অভিষেক হলো অলরাউন্ডার মিরাজের। এদিন পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন তিনি।
টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের অক্টোবরে। চট্টগ্রামে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট। মিরপুরে পরের টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ উইকেট। দুই টেস্টের সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের পাতায় ১৯ বর্ষী এই তরুণ। সাদা পোশাকের সেই যাত্রাটা রঙিন পোশাকে টেনে আনার সুযোগ মেলে ডাম্বুলায়। গত ২৫ মার্চ অভিষেক হয় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। বাংলাদেশের ১২৩তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে।
টেস্ট দলে নিয়মিতই আছেন এই অফস্পিন-অলরাউন্ডার। ৭ টেস্টে ৩৫ উইকেট। ব্যাটেও আত্মবিশ্বাসী কয়েকটি ইনিংস আছে। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্টে এসে দেখা পেয়েছেন প্রথম ফিফটির, ৫১! সাদা পোশাকে পরের ইনিংসগুলো ২৩, ৪১, ২৮, ২৪, ২* জানান দিচ্ছিল ট্রেনটা লাইনেই আছে। এরপর কলম্বোর সিংহলিজে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৫১! ৭১ বলে ৬ চারে সাজানো। সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে ৪ উইকেট।
সেটাই সুযোগ করে দিলো টি-টুয়েন্টি দলেও। এই ফরম্যাটেও তাই আত্মবিশ্বাস নিয়েই শুরু হচ্ছে মিরাজের। ব্যাট-বলে পারদর্শী মিরাজ বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। সম্ভাবনাময় এই তরুণ বছরখানেকের মধ্যেই জাতীয় দলেও ছাপ রাখতে শুরু করেছেন।