জাতীয় ক্রিকেট লিগের নতুন মৌসুমের শুরুতেই বল হাতে ঝলক দেখালেন মনির হোসেন। বরিশালের এ বাঁহাতি স্পিনার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তারপরও ভাল অবস্থানে নেই বরিশাল। খুলনার করা ৪৪৪ রানের জবাবে ১৭৬ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছে তারা।
রাফসান আল মাহমুদ ৫৮ ও নুরুজ্জামান ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছেন।
আল আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক দুটি করে উইকেট নেন। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মেহেদী হাসান নেন একটি করে উইকেট।
শেখ আবু নামের স্টেডিয়ামে বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। ১৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। আবু সায়েমকে ফিরিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পান মাশরাফী। এরপর আল আমিন, রাজ্জাকদের বোলিং নৈপুণ্যে ভেঙে পড়ে বরিশালের ব্যাটিংর্অডার। রাফসান ও নুরুজ্জামান প্রতিরোধে দিন শেষ করেন। এখনও খুলনার চেয়ে ২৬৮ রানে পিছিয়ে তারা।
প্রথম দিনের ৩ উইকেটে ৩৪৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে খুলনা। ১৬৫ রানে অপরাজিত থাকা মেহেদী হাসান এদিন আর ১২ রান যোগ করেন। ২৯০ বলে ১৬ চার ২ ছক্কার ইনিংসটি থামে ১৭৭ রানে। মনির হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
খুলনার বড় সংগ্রহে আগের দিন ১৩২ রানের ইনিংস খেলে ভূমিকা রাখেন তুষার ইমরান।
৩৪.৩ ওভার বোলিং করে ৮৫ রানে ৭ উইকেট নেন মনির। আগে তার সেরা বোলিং ছিল ২৭ রানে ৬ উইকেট।
বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টিভেজা আউটফিল্ড থাকায় খেলা হয়নি। কক্সবাজারে ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগের ম্যাচও মাঠে গড়াতে দেয়নি ভেজা আউটফিল্ড।
দ্বিতীয় স্তরের অপর ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪১৯ রান তুলেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের ২ উইকেটে ৬৭ রানে নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। ইয়াসির আলি ৯৪, সাজ্জাদ হকের ৬৮ ও ইরফান শুক্কুর ৬৫ রান করেন। তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়েছে তারা।
সাকলাইন সজীব ও নাজমুল হোসেন শান্ত দুটি করে উইকেট নেন। ফরহাদ রেজা, সাঞ্জামুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।